জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠক বুধবার

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এই জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্টের সামরিক বিশ্লেষকরা সংশয় প্রকাশ করেছেন যে উত্তর কোরিয়া যে পরীক্ষামূলক ভাবে আন্তমহাদেশীয় বালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা আলাস্কা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে।

জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে তবে তাতে দেশটি তার পারমানবিক উচ্চাকাংখা ত্যাগ করেনি।

সর্ব সাম্প্রতিক এই পরীক্ষামূলক নিক্ষেপনের ঘটনায় স্বয়ং উত্তর কোরিয়ার সব চেয়ে বড় মিত্র দেশ চীন ও হতাশ হয়েছে। চীন , উত্তর কোরিয়াকে বাগে আনতে তেমন কিছুই করতে পারেনি বলে মনে হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা থেকে নিক্ষিপ্ত এই ক্ষেপনাস্ত্রপটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে গিয়ে পড়েছে এবং এতে এক দিকে যেমন টোকিও রাজনৈতিক মহল বিস্মিত হয়েছে অন্যদিকে পিয়ংইয়ংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেইজিং সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া দাবি করছে এই ক্ষেপনাস্ত্র বিশ্বের যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে পারে । এর ফলে পিয়ংইয়ং এর বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে চীনের উপর চাপ বাড়বে।

মঙ্গলবার নিয়মিত এবং সংবাদ ব্রিফিং এ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন যে কোরীয় উপদ্বীপের চ্যালেঞ্জ নিস্পত্তির জন্য বেইজিং সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন যে চীনের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অপরিহার্য এবং সকল পক্ষকে উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গেং বলেন চীন উত্তর কোরিয়াকে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জোর আহ্বান জানাচ্ছে যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লংঘন করে । চীন উত্তর কোরিয়াকে এমন পরিবেশ সৃষ্টির ও আহ্বান জানাচ্ছে যাতে করে সংলাপ ও আপোষ আলোচনা আবার শুরু করা যায়।