যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল সম্পর্ক এবং রাজনীতি

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu speaks before a joint meeting of Congress on Capitol Hill in Washington, March 3, 2015.

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এখন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন। ইরানের পারমানবিক কার্যক্রম নিয়ে বর্তমানে যে আলোচনা চলছে, তিনি সে বিষয়ে তার বিরোধীতার কথা বলবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে রিচার্ড গ্রীনের পাঠানো রিপোর্ট। পড়ে শোনাচ্ছেন শাগুফতা নাসরিন কুইন।

Your browser doesn’t support HTML5

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল সম্পর্ক

ইসরায়েলি নেতা দীর্ঘ দিন ধরেই পারমানবিক অস্ত্রে সজ্জিত ইরানকে তার দেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখিয়েছে। তিনি আলোচনার সমালোচনা করেছেন এই বলে যে আলোচনায় বিশ্ব শক্তিগুলো খুব বেশি ছাড় দিচ্ছে।

An anti-Zionist Orthodox rabbi is pictured next to a U.S. flag during a protest against Israel's Prime Minister Benjamin Netanyahu's speech to a joint meeting of Congress on Capitol Hill in Washington March 3, 2015. A quarter of Democratic U.S. lawmakers

মি নেতানিয়াহু সোমবার American Israel Public Affairs Committee কে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী।

মি নেতানিয়াহু বলেন " আমেরিকার ভৌগলিক অবস্থান হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে নিরাপদ এলাকায় আর ইসরায়েলের অবস্থান বিশ্বের সবচাইতে বিপদজনক এলাকায়; আমেরিকা হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দেশ। ইসরায়েল বলিষ্ঠ কিন্ত অনেক বেশি ঝুঁকির মুখ। আমেরিকান নেতারা তাদের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলি নেতারা তাদের দেশের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন।”

মি ওবামা রয়টার সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সোমবার দুপুরে White Houseএ এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে একই মত প্রকাশ করেন যে দু দেশের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গীতে পার্থক্য কোথায়। তিনি বলেন ইরান যাতে পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সেই অভিন্ন লক্ষ্য কি ভাবে অর্জন করা যায় সে বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য আছে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন "আমরা চেষ্টা করছি কূটনৈতিক উপায় এর সমাধান করতে। কিন্তু ইরানের গোপন কার্যক্রমের যে ইতিহাস, ওই এলাকায় এবং বিশ্বে সন্ত্রাসবাদে মদদ যোগানোর যে ইতিহাস ইরানের, এবং ইরানী প্রশাসন, ইসরায়েল বিরোধী ইহুদীবাদ বিরোধী যে সব কথা বলে এসেছে তাতে এটা বোঝা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে ইরান পারমানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে না বিশ্বকে তা বোঝানোর জন্য অনেক তথ্য প্রমান দিতে হবে। ইরান যদি সেটা করে এবং আমরা যদি সেটা নির্নয় করতে পারি তাহলে সেটাই আমাদের জন্য সব চাইতে ভাল পথ। আমাদের যেটা করা উচিত নয় তা হচ্ছে আলোচনা ভেঙ্গে দেওয়া বা তার ক্ষতি করা।”

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার জন বেইনারের আমন্ত্রণে মি নেতানিয়াহু এখানে এসেছেন এবং কংগ্রেসে ভাষণ দিচ্ছেন। মি বেইনার White House এর সঙ্গে এ বিষয়ে কোন পরামর্শ বা আলোচনা করেননি। সাধারনত যা করা হয়ে থাকে।