রোহিংগা নির্যাতনের জন্য দায়ী মিয়ানমার : যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত রিপোর্ট

সংখ্যালঘু রোহিংগা মুসলমানদের মিয়ান্মারদের বিপুল সংখ্যা দেশত্যাগের পর , যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ প্রাণে রক্ষা পাওয়া লোকজনের কাছ থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করেছে তাতে এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় যে মিয়ান্মারের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী জঘন্য ভাবে সেখানে মানবাধিকার লংঘন করেছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেইলি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন যে প্রাণে রক্ষা পাওয়া লোকগুলোর কাছ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীর যে বিবরণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে রোহিংগারা সরাসরি সহিংসতার শিকার হয়েছে , তাদের বাড়িতে , তাদের পরিবারে এবং উভয় জায়গায়। তিনি আরও বলেন ঐ প্রতিবেদনে একটি গোষ্ঠিকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা অধিকাংশ অপরাধ করেছে , আর তারা হচ্ছে বর্মার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী।

Bangladesh Rohingya Anniversary

হেইলি বলেন পররাষ্ট্র বিভাগের তথ্যের ভিত্তি হচ্ছে এক হাজারটির বেশি লোকের সাক্ষাৎকার । এদের বাংলাদেশের শরনার্থি শিবির থেকে কোন রকম বাছ বিচার না করেই বাছাই করা হয়।

হেইলি এ প্রতিবেদনে দেওয়া বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন যা এতদিন প্রকাশ পায়নি। জরিপ করা এক পঞ্চমাংশ রোহিংগাই বলেছে ১০০ জনের ও বেশি লোককে হত্যা কিংবা আহত করা তারা নিজের চোখে দেখেছে। ৮২ শতাংশ দেখেছে তাদের বাড়ি কিংবা গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একান্ন শতাংশ বলেছে তারা যৌন সহিংসতা দেখেছে। ৬৫ শতাংশ দেখেছে পরিবারের একজন কিংবা গ্রামের একজনকে আহত হতে।