ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের হুমকি মোকাবেলায় তালিবানের সাহায্য পাবার বিষয়ে সন্দিহান যুক্তরাষ্ট্র

তালেবান স্পেশাল ফোর্সের যোদ্ধারা মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে।৩১ আগস্ট ২০২১।

আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগী সংগঠনের হুমকি মোকাবেলায় তালিবানের সঙ্গে সম্ভাব্য কাজ করার কথা যুক্তরাষ্ট্র নাকচ করে দিচ্ছে না। যদিও কর্মকর্তারা হুশিয়ার করে দিয়ে বলছেন, আশানুরূপ সাহায্য হয়তো পাওয়া যাবে না।

জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি মঙ্গলবার পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন, "এটা সম্ভব।"

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সৈন্যদল আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর তিনি প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। মিলি বলেন, "আমরা জানি না তালিবানের ভবিষ্যত কি, কিন্তু আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে এটি আগে থেকেই একটি নির্দয় গোষ্ঠী এবং তাদের কোন পরিবর্তন হয় কি না তা দেখা বাকি আছে।"

সাম্প্রতিক কাবুল থেকে উদ্ধার অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা এবং তালিবান কমান্ডারদের মধ্যে সমন্বয় থাকা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের ক্ষেত্রে তালিবানের সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ক্ষীণ ভাবে দেখছেন।

অস্টিন বলেন, "আমরা তালিবানের সঙ্গে মাত্র কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছিলাম এবং তা ছিল যতটা সম্ভব লোকজনকে সরিয়ে নেবার জন্য।" তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখানে যুক্তি ডিঙ্গিয়ে কোন কিছু বলতে চাইনা ।’

২০ বছর যুদ্ধের পরও যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবানের মধ্যে আস্থার অভাব থাকলেও, আইএস-খোরাসানের ক্ষেত্রে তালিবান সহযোগিতা করতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। একটি কারণ হলো কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করতে তাদের আপাতঃ ইচ্ছা এবং সৈন্য প্রত্যাহার ও লোকজন সরিয়ে নেওয়ার সেই কাজটি শেষ হয়ে গেছে।তা ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবান উভয়ই আইএস -এর সহযোগীকে শত্রু হিসেবে দেখে।

এমনকি এ বিষয়ে কিছু সাম্প্রতিক ইতিহাস আছে।

মাত্র দেড় বছর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে "খুব সীমিত সাহায্য" পেয়ে তালিবান আইএস-খোরাসানকে নানগারহার এবং কুনার প্রদেশের শক্ত ঘাঁটি থেকে উৎখাত করেছিল।আইএস-এর অধিভুক্তির আরেকটি সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আইসিস -কের সঙ্গে জড়িত তালিবান ইউনিটগুলিকে সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছি।”

"আমরা আগে থেকে জানা আইসিস-কের অবস্থানেও কিছু হামলা চালিয়েছি," ঐ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, "সেই হামলাগুলি তালিবানের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়নি।"

কিন্তু এখন যেহেতু আইএস-খোরাসান আর কোনো ভূখণ্ড দখল করে নেই এবং তালিবান নিয়ন্ত্রণে আছে, তাই অনেকে মনে করেন যে তালিবান ওয়াশিংটনের অনেক অনুরোধই মেনে নিতে অনিচ্ছুক হবে।