পশ্চিমবঙ্গে শুধু মাত্র সন্দেহের বশে ঘটে গেছে গণধোলাই এর ঘটনা

এই মুর্হূতে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায়বেশ কয়েক দিনেশুধু মাত্র সন্দেহের বশেঘটে গেছে গণধোলাই এর ঘটনা, যার জেরেমৃত্যুও ঘটছে কিছু মানুষের, যেখানে বাদ পড়েনি কোনো এক শিক্ষিকার পরিবারের কোনো সদস্য বা কোনো ভিখিরি কিম্বা কোনো ভবঘুরে মানুষ।বাংলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই গুজব-সংক্রমণ ঠেকাতে এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য পুলিশের শীর্ষ নেতৃত্ব! যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে।রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল সুরজিত কর পুরকায়স্থসাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন গুজবে কান দেবেন না।রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের সদর কার্যালয়ভবানী ভবনে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে, পুলিশকর্তারাদাবি করছেন, পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে ,লক্ষ্য - রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করা।ডিজি জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবের ওপর ভিত্তি করে অসামাজিক কাজ করছে কিছু লোক । নিরপরাধ লোকজনকে মারধর করা হচ্ছে। যারা এতে ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পঁচিশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেওডিজি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন।প্রসংগত বলা যেতে পারে, গুজব বন্ধে পুলিশকর্তা দের সাংবাদিক বৈঠকের দিনই এই রকমই এক ঘটনা ঘটে গেল রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলারজগদ্দলে! ওই অঞ্চলের রামনগর কলোনি থেকে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় ঐ ব্যাক্তির। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ওই ভবঘুরে ব্যক্তি রাতের দিকে একটি বাড়ির শৌচাগারে ঢুকে গিয়েছিল। চোর সন্দেহে তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। এজাতীয় গুজবের শুরুটা হয়েছিল গত কয়েক দিন রাজ্যর নদীয়া জেলা দিয়ে। তারপর গুজব-সংক্রমণ ছড়িয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়, গুজবের বিষ গ্রাস করেছে হুগলি, বর্ধমানকে জেলা কেও । মিথ্যে, বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ছড়ানোর কাজে, জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিকেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে ।গুজবে এমনও রটানো হচ্ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের কথা, ভিখিরি ভবঘুরেদের সম্পর্কে রটানো হচ্ছে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার ,চেষ্টা হচ্ছে মহিলাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই সরাসরি দেওয়া হচ্ছে গণপিটুনির প্ররোচনা,এই সব অপরাধ যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা সাংবাদিক বৈঠক করে সেটাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।

পরমাশিষ গোষ রায়ের রিপোর্ট