আগামীকাল ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে আজকের নারীকণ্ঠ উৎসর্গ করছি পৃথিবীর সব নারীদের যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংগ্রাম করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাফল্যের পথে। আজ গর্ব করে আমরা বলতে পারি নারীদের পদচারনা সব ক্ষেত্রে। কোনও বিষয়ে নারীরা আজ পিছিয়ে নেই।
নারীকণ্ঠে আজ শোনাবো চার নারীর কথা। তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে একেকজন উজ্জ্বল নক্ষত্র।এর ভেতর রয়েছেন দুই বিদেশিনী যারা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষকে ভালবেসে রয়ে গেছেন সেখানে। রপ্ত করেছেন এই সুমধুর ভাষা।
প্রথমেই শোনাবো কলকাতার সুষমা মিদ্দের কথা, যিনি এখন পর্যন্ত উবার কোম্পানির দেয়া তথ্য মতে কলকাতার একমাত্র নারী উবার দ্রাইভার।সুশ্মা আমাদের জানাচ্ছিলেন কিভাবে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন।
তোমোকো মাটসুমোটো প্রথম বাংলাদেশে যান ১৯৮১ সালে জাপান বাংলাদেশের যৌথ একটি প্রকল্পে। তখন থেকেই যাওয়া আসার মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশী নারীদের জীবন উন্নয়নে ছোট ভূমিকা রাখতে চেয়েছিলেন, আর তাই যশোরের স্থানীয় নারীদের উদবুদ্ধ করেন স্বাবলম্বী হতে। নিজের অনুভূতির কথা আমাদের জানাচ্ছিলেন বাংলা ভাষাতে।
আজ নারী দিবসের প্রাক্কালে আরও একজন নারী গর্বিত করলো নারী জাতিকে, তার নাম রাযিয়া সুলতানা। লরেছেন রোহিঙ্গা নারীদের পক্ষে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে কিছুক্ষন আগে টাকে দেয়া হয় সাহসিকতার জন্য পুরস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প রাযিয়া সুলতানার হাতে তুলে দেন এই পুরস্কার।
বাংলাদেশে জন্ম, পড়াশুনা। পরবর্তীতে পারি জমান অস্ট্রেলিয়াতে। ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশী নারী, সাবরিন ফারুকি । তিনি অস্ট্রেলিয়ার সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টির পক্ষে মনোনয়ন পেয়েছেন।জানাচ্ছিলেন তিনি কিভাবে অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হলেন এবং কিভাবে তিনি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে সহায়তা দেবেন তার রাজনৈতিক দল ক্ষমতা পেলে।
ডেবোরাকে যখন প্রথম দেখি তখন খুব অবাক হয়েছিলাম। একজন ফরাসী নাগরিক সুদুর বাংলাদেশে বসবাস করছেন। লালনের প্রতি ভালবাসা, জ্ঞান অর্জনের পিপাসা থেকে তার ছুটে যাওয়া। যখন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম বিশ্বাস হচ্ছিলনা আমি একজন বিদেশিনীর সঙ্গে কথা বলছি…
জয় হোক নারী জাতির, এগিয়ে চলুক উন্নতির শিখরে ওঠার সংগ্রাম। সবাইকে নারী দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের নারীকণ্ঠ।
Your browser doesn’t support HTML5