বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবনের পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এতে কি থেমে আছে অপরাধ? আন্দোলন চলার সময় কি ধর্ষণ বন্ধ ছিল? এমন কি আইনটি যখন সংশোধন করা হল তখনো কি অপরাধীরা ভয়ে পিছপা হয়েছে? মনে হয়না কারণ খবরের পাতাগুলো তা বলছে না। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের প্রতি নির্যাতনের চিত্র তা বলে না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কি প্রয়োজন? আর কি পদক্ষেপ নিলে নারীদের বিরুদ্ধে এই নির্যাতন বন্ধ হবে? আমরা আসলে কি চাইব? ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ হক নাকি মাত্রা হ্রাস? বাস্তবিক অর্থে গ্রহণযোগ্য কোনটি?
অনেক বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন আছে কিন্তু তার কঠোর প্রয়োগ নেই। যখন জানতে চাওয়া হয় কেন কঠোর প্রয়োগ নেই। আঙুল ওঠে প্রশাসনের দিকে। কিন্তু প্রশাসন বলছে, তারা কাজ করছেন। এই আলোচনা, প্রক্রিয়া, সব কিছুর মধ্যে কিছু জীবন চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন জীবন নানা দুয়ারে ন্যায়বিচারের আশায় ধর্না দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিচ্ছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বলা যায়, ন্যায়বিচারের চাইতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তার খাতিরে জলাঞ্জালি দিতে হয়। বাঁচতে হয় বিভীষিকাময় এক সমাজে। যেখানে অপরাধের শিকার নারীকে বলা হয় কলঙ্কিনী। কিন্তু তিনি কেন কলঙ্কিনী? তার দোষ ধরা হচ্ছে কেন? আইনেও সে সুযোগ রয়েছে একজন নারীকে দুশ্চরিত্র প্রমাণিত করার। প্রশ্ন হচ্ছে কেন আমন আইন করা হয়েছিলো এবং তা সংশোধন হতে কত সময় লেগে যেতে পারে।
নারীকণ্ঠের এ পর্বে কথা বলেছি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারপার্সন জহিরুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট, ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের সঙ্গে।
Your browser doesn’t support HTML5
ধর্ষণের মাত্রা রুখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন