বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্যান্সারের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা বের করতে যাচ্ছে

cancer

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্যান্সারের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে একটি নির্দেশিকা বের করতে যাচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোটি কোটি মানুষদের জন্য এই নির্দেশিকা সহায়ক হবে। ভয়েস অফ আমেরিকার লিসা শ্লাইনের প্রতিবেদন থেকে পড়ে শোনাচ্ছেন সানজানা ফিরোজ।

বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে ক্যান্সারে।

ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে একজন ক্যান্সার রোগীকে অপরিমেয় যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এই যন্ত্রণা কিছুটা কমাতে এখনো পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে চিকিৎসা বিদ্যা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছে এই ব্যথা লাঘবের বিষয়ে তাদের নতুন নির্দেশিকা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক ব্যাধী বিভাগের পরিচালক এটিইয়েন ক্রুগ বলেন ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যথা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্তের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন। এই বিষয়টি বেশীর ভাগ সময় একেবারেই উপেক্ষা করা হয়।

এটিইয়েন ক্রুগ বলেন,'এই একবিংশ শতাব্দীতে শুধু ক্যান্সার রোগী কেন কোনও রোগী ব্যথার যন্ত্রণাতে মারা যেতে পারেনা। আমাদের সেই জ্ঞান রয়েছে কিভাবে ব্যথা থেকে একজন রোগীকে পরিত্রাণ দেয়া সম্ভব। আমাদের কাছে ব্যথা নিয়ন্ত্রনের ওষুধ রয়েছে। শুধু নিশ্চিত করতে হবে সবাই যেন এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো করে আগে জেনে নেন।

দরিদ্র দেশগুলোতে এই পরিস্থিতি আরও প্রকট। কারণ কান্সারের চিকিৎসার যে শারীরিক যন্ত্রণা রোগীদের পোহাতে হয় ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই দরিদ্র দেশগুলো এখনো অনেক পিছিয়ে। তবে ক্রুগ জানাচ্ছিলেন বিত্তবান দেশগুলোর অবস্থা কোনও অংশে কম নয়। সেখানেও প্রতিনিয়ত রোগীরা অসহনীয় ব্যথা নিয়ে বেঁচে আছেন, মারা যাচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ওপিওইড ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন, ক্যান্সার চিকিতসায় অপরিহার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক ব্যাধি সমন্বয়কারী চেরিয়ানা ভারগিস বলেন বিশ্বজুড়ে ওপিওইড, মরফিনে আসক্তি মাত্রাতিরিক্ত হবার কারণ দেখিয়ে কিছু কিছু দেশে এই ব্যথানাশক ওষুধগুলো ব্যবহারে বিধি আরোপ করা হয়েছে।'

চেরিয়ানা ভারগিস বলেন,' কোনও দেশের সরকার যখন ওপিওইড ব্যবহার করতে চাই, তখন এই ব্যবহারকে ঘিরে থাকে নানা হুমকি। এই ওপিওইডের ব্যবহার যদি মাত্রাতিরিক্ত ছাড়িয়ে যায় তখন বিপত্তি ঘটে। আর সেই জন্যই যে কোন দেশের সরকারকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।'

ভারগিস বলেন ওপিওইড ও মরফিনের অপব্যবহার রোধে যথেষ্ট নজর রাখা হয়। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ডাক্তার অথবা নার্স দ্বারা এই ব্যথানাশক ওষুধগুলো রোগীদের প্রয়োগ করা উচিৎ। যদি সম্ভব হয় তাহলে মৌখিকভাবে ওষুধগুলো দেয়া উচিৎ।

Your browser doesn’t support HTML5

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্যান্সারের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিকা বের করতে যাচ্ছে