আন্তর্জাতিক নারী দিবস আলাদা করে একটা দিন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আলাদা করে একটা দিন

বিশিষ্ট সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীকে একবার নারী দিবস নিয়ে বলতে বলা হয়েছিল। তিনি খুব অবাক হয়ে বলেছিলেন, ৩৬৫ দিনই তো নারী দিবস… তার মধ্যে থেকে আলাদা করে একটা দিনকে বের করে আনব কেন? কই, পুরুষ দিবস তো কিছু দেখি না!

বিশিষ্ট সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীকে একবার নারী দিবস নিয়ে বলতে বলা হয়েছিল। তিনি খুব অবাক হয়ে বলেছিলেন, ৩৬৫ দিনই তো নারী দিবস… তার মধ্যে থেকে আলাদা করে একটা দিনকে বের করে আনব কেন? কই, পুরুষ দিবস তো কিছু দেখি না!

আজ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আশাপূর্ণা দেবীর সেই কথাগুলো আবার আমাদের মনে পড়তে বাধ্য। কারণ কয়েক জন রাজনৈতিক নেতা যাঁরা এই দিন উপলক্ষে গালভরা ভাষণ দেবেন ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারা নারীকেন্দ্রিক জিনিসপত্র বিক্রি করবে, তারা বাদে নারী দিবস সাধারণ ভাবে নারীদের কাছে অর্থহীন। যেমন ধরা যাক কলকাতা লাগোয়া সল্টলেকের বাসিন্দা অনিন্দিতা সেনগুপ্তর কথা। অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা পরিপূর্ণ তাঁর ওপর নির্ভরশীল। একমাত্র মেয়ে কাজের সূত্রে দূরে থাকে, সংসারের ভার পুরোটাই অনিন্দিতার ওপরে...

মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা দ্বৈপায়ন চক্রবর্তীরও একই মনোভাব। পুরুষ হিসেবে নারীদের সঙ্গে এ দিন আচরণেরও কোনও রকমফের হয় না। কাজেই তাঁর কাছে এই দিনটার আলাদা কোনও তাৎপর্য নেই...

এমনিতেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর মর্যাদা কম। তাই নিয়ে সারাবিশ্বেই নারীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। তার ওপর এখন করোনা পরিস্থিতিতে অবস্থা আরও অনেক দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম কলকাতার উত্তর প্রান্তের বাসিন্দা সায়ন্তনী সেনগুপ্তকে। স্বামী ও একমাত্র কন্যা নিয়ে তাঁর সংসার। তিনি বললেন...

সায়ন্তনী সেনগুপ্তর মতো আমরাও চাইবো মেয়েদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হোক। তা হলে আর আলাদা করে নারী দিবস পালনের দরকার হবে না। দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা

Your browser doesn’t support HTML5

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আলাদা করে একটা দিন