পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও সময় কেঁপে উঠতে পারে পায়ের নীচের মাটি

People stand outdoors after they rushed pout of their offices following tremors in Kolkata, India, Aug. 24, 2016.

ভারতের, পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও সময় কেঁপে উঠতে পারে পায়ের নীচের মাটি। চোখের সামনে হুড়মুড় করে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে বহুতল। অদূর ভবিষ্যতে এমন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে পারেন খাস কলকাতার অধিবাসীরা।

কলকাতা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন পরমাশিষ ঘোষ রায়।

Your browser doesn’t support HTML5

পরমাশিষ ঘোষ রায়ের রিপোর্ট ভূমিকম্প

গতকাল রবিবার পশ্চিমবঙ্গে ভোররাতে পুরুলিয়া এবং তার আগে কখনও বাঁকুড়া, কখনও আবার দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অসম-অরুণাচল প্রদেশের ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপটে এমনই অশনি সংকেত দেখছেন ভূবিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, বারবার এই ছোট কম্পনগুলোও ইওসিন রেঞ্জে বড় ধাক্কা দিতে পারে। যার ফলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা বড় ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে। এমনকী তাঁদের আশঙ্কা, আগামী দু’মাসের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারত তথা কলকাতায় বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।খাস কলকাতা তো বটেই। বাদ যাবে না সল্টলেক, বরানগর থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বর। তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বড় শহর, এমনকী পড়শি রাজ্যেরও বেশ কিছু ঘনবসতির শহর নগরও এই তালিকায় রয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষের জীবন এই মুহূর্তে প্রায় খাদের কিনারে। সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটি’র জিওলজি ও জিওফিজিক্সের প্রধান তথা বিশিষ্ট ভূ-পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক শঙ্করকুমার নাথ সহ অন্যান্য ভূবিজ্ঞানীরা এই করাল আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, ভূমিকম্পের অন্যতম উৎসস্থল যে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কার্যত লাগোয়া। সাকুল্যে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূকম্প-উৎস থেকেও পশ্চিমবঙ্গের দূরত্ব এমন কিছু নয়, মাত্র সাড়ে ছ’শো কিলোমিটার। আর তীব্র ভূকম্পের আঁতুড় যে হিমালয় অঞ্চল, তার মোটে সাতশো কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে এই রাজ্য। ফলে যে কোনও একটিতে কম্পন হলে পশ্চিমবঙ্গে কম-বেশি প্রভাব পড়ার বিলক্ষণ সম্ভাবনা রয়েছে।