অনুপ্রবেশ রুখতে এবার ভারত পাক-সীমান্তের মতো ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে নদীপাড় ও খাঁড়ি-সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে লেজার ওয়াল বসানোর ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ।
বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।
Your browser doesn’t support HTML5
পরমাশিষ ঘোষ রায়ের রিপোর্ট (লেসার ওয়াল)
এখনও পর্যন্ত, এই সব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ডিভাইস, ফ্লাড লাইট ও নাইট ভিসন গগলস ব্যবহার করে আসছে বিএসএফ।বাহিনীর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের এক শীর্ষ কর্তার মতে, লেজার ওয়াল বসলে, সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।তবে, এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা। সেইসাথে তিনি বলেনপ্রায় একই ধরনের ব্যবস্থা বসানোর কাজ চলছে অসমের ধুবরিতে। সেখানে তা চালু হলে, বাহিনী তার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে, ত্রিপুরাতেও ওই মডেল বসানো সম্ভব কি না।
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের আটশো ছাপান্নকিলোমিটার দৈর্ঘ্য সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যেআটশো চল্লিশ কিলোমিটার কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই, সাতশোপঞ্চাশ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়ারকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি, জায়গাগুলি অরক্ষিত পড়ে রয়েছে।বিএসএফ কর্তাদের দাবি, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে যে নদীপাড় সীমান্ত এবং জনবসতিহীন সীমান্তাঞ্চল দিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে জঙ্গি ও রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্তরা পারাপার করছে।বিশেষ করে, সেপাহিজালা জেলার অন্তর্গত সোনামুরা মহকুমার প্রায় পুরোটাই ফাঁকা রয়েছে। এখানে কাঁটাতার বসানোর সম্ভব নয়। ফলে, এই জায়গা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটে চলেছে। তাই, বাহিনী সেখানে লেজার ওয়াল বসানোর ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে।