বাংলাদেশের একটি উচ্চ আদালত বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ অর্থ পাচার নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আমলে নিয়ে রোববার স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দিয়ে বলেছে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছেন তাঁরা দেশ ও জাতির শত্রু। আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেছে যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছেন তাঁদের দেশপ্রেম নাই এবং তাঁরা জাতির সাথে বেইমানি করছেন।
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নাম-পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে এসকল তথ্য দাখিল করতে বলা হয়েছে। অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব চেয়েছে আদালত।
দেশ থেকে বিরাট অংকের টাকা বিদেশে পাচার বন্ধে হাই কোর্টের আদেশ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থনীতি বিষয়ক বাংলাদেশের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি এর সম্মানিত ফেলো ড. মস্তাফিজুর রহমান ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন দেশে যে শক্তিশালী অর্থ পাচার বিরোধী আইন রয়েছে তার কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এই অপরাধ দমন সম্ভব। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন বিদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Your browser doesn’t support HTML5
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট