সম্প্রচারকদের পরিচিতি
আহসানুল হক
আহ্সান ২০০৬ সালে ভয়েস অফ আমেরিকায় যোগ দেন। সে সময় থেকেই বাংলা বিভাগ নিয়মিত টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচার করতে শুরু করে। আহ্সান টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা এবং প্রযোজনা করা ছাড়াও বেতার এবং ইন্টারনেটেও কাজ করছেন। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এনটিভি-র জন্য ২০০৬ সাল থেকে এ নাগাদ নিয়মিত অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ অনুষ্ঠানটির নাম হ্যালো আমেরিকা। প্রতি শনিবার রাতে এটি সম্প্রচারিত হয়। এছাড়াও এটিএন বাংলার জন্য ‘সরাসরি আমেরিকা’ অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন।
১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলায় কাজ করেছেন। মাঝখানে কয়েক বছর লণ্ডনভিত্তিক বাংলা টিভিতেও কাজ করেছেন। স্নাতক এবং মাস্টার্স করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। লণ্ডন ইউনিভার্সিটির সোয়া্স (SOAS) স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডি্জে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ওপর স্নাতকোত্তর পড়ালেখা করেছেন।
সংগীত, সাহিত্য এবং খেলাধূলা তার প্রিয় বিষয়। সুপরিচিত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কলিম শরাফীর কাছে সংগীত ভবনে গানের হাতেখড়ি। ২০১৫ সালে একুশের বইমেলায় তার একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘নব আনন্দে জাগো’।
তাহিরা কিবরিয়া রেডিও এবং টেলিভিশন ব্রডকাস্টার। ভয়েস অব আমেরিকায় রেডিও, টেলিভিশন এবং মাল্টি মিডিয়ার কর্মী। দেশ টেলিভিশনে প্রচারিত “ভিওএ সিক্সটি আমেরিকা” এবং এন টিভির “হ্যালো আমেরিকা”র সুপরিচিত মুখ।
তাহিরা আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন সার্ভিস ইনষ্টিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন সাত বছর, ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ফরেন ল্যাংগুয়েজ সেন্টারে নেট ভিত্তিক ভাষা কর্মসূচি ল্যাংনেটে কাজ করেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময় এশিয়া প্যাসেফিক ডিফেন্স ফোরাম ম্যাগাজিনেও কাজ করেন। সাহিত্য, চিত্রশিল্প ও নৃত্যকলার প্রতি তাহিরার বিশেষ অনুরাগ রয়েছে। তিনি ওডিসি নৃত্যশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
সেলিম হোসেন
সেলিম হোসেন সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৯০ সালে ইংরেজী দৈনিক দি নিউ নেশনের রিপোর্টার হিসাবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে।
১৯৯৪ সালে তিনি দি ডেইলী ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় যোগ দেন; সিনিয়র রিপোর্টার হিসাবে। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় তিনি রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কুটনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং অপরাধ-সহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে, বিষয়-ভিত্তক সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
১৯৯৭ সালে তিনি তথ্য ও সংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দেন ঢাকাস্থ জাপানী দূতাবাসে। ২০০৫ সালের আগষ্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত তিনি জাপান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড, শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়ন-সহ জাপান বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে ২০০৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ২৪ ঘন্টার বাংলা ভাষার টেলিভিশন এসটিভি ইউএসএ’র বার্তা প্রধান ছিলেন। ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি এনটিভি ইউএসএ’র বার্তা সম্পাদক এবং ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে ২০১৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এটিএন বাংলা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো প্রধান হাসাবে কাজ করেন।
সেলিম হোসেন ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ভয়েস অব আমেরিকায় যোগ দেন।
আনিস আহমেদ
২০০১ সালে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগে আন্তর্জাতিক বেতার সম্প্রচারক হিসেবে যোগদানের পর আনিস আহমেদ অসংখ্য এমন সব অনুষ্ঠান গ্রন্থনা ও উপস্থাপন করেছেন যা শ্রোতা-নন্দিত হয়েছে । তাঁর গবেষণা , গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় পরিবেশিত উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে , ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে , বাহান্ন এখন পঞ্চাশে । অন্যান্য অনুষ্ঠান: বাংলাদেশের গণতন্ত্র: সংকট ও সমাধান, বাংলাগানের বিবর্তন, আমেরিকান ও ব্রিটিশ কবিদের কবিতা নিয়ে কথা ও আবৃত্তি । এ সব অনুষ্ঠান তাঁকে অসংখ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছে। ভয়েস অফ আমেরিকা এবং ব্রডকাস্টিং বোর্ড অফ গভর্ণরস ‘এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে তাঁর সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আনিস আহমেদ ২০১০ সালে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাঁর ইংরেজি শিক্ষা বিষয়ক কয়েকটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান , Words & Their Stories , Talk2US , এবং বর্তমানে প্রচারিত English in Minutes . ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের ওয়েব পেইজের অন্যতম উদ্যোক্তা আনিস আহমেদ এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বিবিসি লন্ডনে সাতবছর প্রযোজক পদে কাজ করেছেন। বেতারের সঙ্গে আনিস আহমেদের সম্পৃক্ততা শিশু শিল্পী হিসেবে তৎকালীন খেলাঘর অনুষ্ঠান থেকে ১৯৬০’এর দশকে।
এক সময়কার তূখোড় বিতার্কিক, আনিস আহমেদের কর্মজীবনের সূচনা শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি ঢাকার নটরডেম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরবর্তীতে লন্ডনে সোয়াস ‘এ শিক্ষকতা করেছেন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র আনিস আহমেদ নিয়মিত বাংলা কবিতা লিখে থাকেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতার দুটি বই হচ্ছে, : ইলিশিয়ামের প্রতীক্ষায় এবং শব্দ ও নৈঃশব্দের সুর।