অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফ্রিডম ইনডেক্স: ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম


ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজিত আটলান্টিক কাউন্সিল। মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজিত আটলান্টিক কাউন্সিল। মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪।

স্বাধীনতা সূচকে (ফ্রিডম ইনডেক্স) ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ফ্রিডম ইনডেক্সে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি নির্দেশকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান টানা ২২ বছর ধরে নিম্নমুখী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে, সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয়।

সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া ও থিংক ট্যাংক এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই থিংক ট্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মৌলিক স্বাধীনতা জোরদার করা গেলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। প্রতিবেদনে দুটি পৃথক সূচক রয়েছে; স্বাধীনতা সূচক ও সমৃদ্ধি সূচক। বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বক্তব্যে বলা হয়, স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। এটি ‘অধিকাংশক্ষেত্রে স্বাধীনতাবঞ্চিত’ বিভাগের মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে, সমৃদ্ধি সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম অবস্থান নিয়ে দেশটি ‘অধিকাংশক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ শ্রেণিতে রয়েছে বলে দূতাবাসের বক্তব্যে বলা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “প্রতিটি দেশই দুর্নীতির বিপক্ষে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করতে লড়াই করছে। সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সমস্যা সক্রিয়ভাবে স্বীকার করা এবং তা মোকাবেলা করা মূল বিষয়।”

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ও শাসনবিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ, ক্রম নির্ধারণ করা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়েছে বলে জানান জোসেফ লেমোইন।

লেমোইন বলেন, “যেসব দেশে স্বাধীনতা বেশি রয়েছে, সেসব দেশ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও উচ্চ স্তরে অবস্থান করে। অন্যদিকে কম স্বাধীনতা পাওয়া দেশগুলো সমৃদ্ধিতেও নিম্নস্তরে অবস্থান করে। শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রচারকারী দেশগুলোর পরিবেশ এমন থাকে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে। এই দেশগুলো কম স্বাধীনতার দেশগুলোর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পায়।”

স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে স্বাধীনতা সূচকে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গণতন্ত্রের লড়াই থেকে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ ভবিষ্যতের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে।

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে, রূপকল্প ২০৪১ তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক অগ্রগতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পরিকল্পনায়। এতে, নাগরিকদের ক্ষমতায়ন এবং তার গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দৃঢ় করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG