অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাব সভাপতি তসলিম: ‘বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে’


হাব সভাপতি তসলিম: ‘বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে’
হাব সভাপতি তসলিম: ‘বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে’

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেছেন, “বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মুখে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে হাব এ বিষয়ে পূর্বেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হজযাত্রীদের কল্যাণে সুশৃংখল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।”

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হাব আয়োজিত হজ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সারা দেশের হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কারণে এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হয়নি। বাড়ি ভাড়াসহ অনেক আনুষ্ঠানিকতা বাকি। অথচ চলতি বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ হতে পারে ১৬ জুন।

শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, “মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। কোনো হাজি যেন হজে গিয়ে কষ্ট না পান, সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে না। হজ ব্যবস্থাপনায় আবার চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। আমরা আগেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম যে, হজ ব্যবস্থাপনা এ বছর চ্যালেঞ্জিং হবে। এজেন্সি কোটা সর্বনিম্ন ১০০ জন রাখতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। কোনো এক অজানা কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীর সংখ্যা কমাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ এজেন্সি কোটা ৩০০ থাকা সত্ত্বেও কি কারণে ৫০০ জন করা হলো যা বোধগম্য নয়।”

তিনি বলেন, “সৌদি আরব সরকার ৫৬ এজেন্সির মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিলেও আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম। কারণ এজেন্সিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলে সব যাত্রীকে সেবা প্রদান করা দুরূহ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ হাজীদের সঠিকভাবে সেবা প্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটে।”

শাহাদাত হোসাইন তসলিম আরও বলেন, “হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধি বা মোনাজ্জেমকে সৌদিতে যেতে হয়। প্রতি বছর মোনাজ্জেমদের সৌদি যেতে মাল্টিপল ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। হজ অফিসের পরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক এজেন্সিগুলো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিজিট ভিসার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনো হজ এজেন্সির মোনাজ্জেম বা প্রদিনিধিদের ভিজিট ভিসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোনাজ্জেম ছাড়া বাড়ি ভাড়া করা যাবে না এবং বাড়ি ভাড়া করা না গেলে হজ ভিসা করা যাবে না।”

XS
SM
MD
LG