পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে এবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, "লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় লঞ্চ চালাতে মালিকরা অপারগতা প্রকাশ করেছেন।"
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান শনিবার দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাই তেলের টাকা জোগাড় করতে না পারায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের পর ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা।
শুক্রবার বিকেলে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই প্রস্তাব করে তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওদিকে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকায় কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকাগামী লঞ্চ যাত্রীরা।
শনিবার বিকেল থেকে বরিশাল নদীবন্দরে ভিড় করলেও লঞ্চে যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হয়নি। ফলে টার্মিনালে তাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এ দিন বিকেল ৩টার পর ঢাকাগামী ৭টি বিলাসবহুল লঞ্চের সিঁড়ি তুলে রাখা হয়। আর সন্ধ্যার দিকে তিনটি লঞ্চ বন্দর টার্মিনাল থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। বিকেল ৩টার পর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলোর চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঢাকা বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের স্টাফ শাহাবুদ্দিন বলেন, "কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করলে ধর্মঘট চলবে।"
সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুকানি বেলাল হোসেন বলেন, শুনেছি লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালিকের সঙ্গে কথা বলে যাত্রী লঞ্চে ওঠানো হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেবো।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "আমি... শুনেছি লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি। লোকাল রুট শুধু নয়, সব রুটের লঞ্চই বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকরা।"