অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মণিপুরী সমাজকর্মী লাইচোমবাম মুক্তি পেয়েছেন


মণিপুরী সমাজকর্মী এরেন্দ্রো লাইচোমবাম
মণিপুরী সমাজকর্মী এরেন্দ্রো লাইচোমবাম

জাতীয় নিরাপত্তা আইনে জেলবন্দি মণিপুরী সমাজকর্মী এরেন্দ্রো লাইচোমবাম আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন। গত ১৩ই মে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি মণিপুরের একটি জেলে আটক ছিলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা আইনে জেলবন্দি মণিপুরী সমাজকর্মী এরেন্দ্রো লাইচোমবাম আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন। গত ১৩ই মে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি মণিপুরের একটি জেলে আটক ছিলেন।

ওই দিনই মণিপুরের বিজেপি নেতা টিকেন্দ্র সিং করোনায় মারা যাওয়ার পর লাইচোমবাম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, "ওঁর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক। কিন্তু বুঝতে হবে যে গোবর বা গোমূত্র খেয়ে করোনা সারে না। করোনা সারাতে দরকার বিজ্ঞান ও বাস্তব বুদ্ধি।"

এর পরেই কয়েকজন বিজেপি নেতা তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনেন এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাইচোমবামের বাবা রঘুমণি সিং সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁর ছেলেকে অকারণ শাস্তি দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করে বন্দি রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজকেই বেলা পাঁচটার মধ্যে লাইচোমবামকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেয়। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অনুরোধ করেছিলেন, আগামীকাল পর্যন্ত এই নির্দেশ পিছিয়ে দিতে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলে, আগামীকালও এ বিষয়ে শুনানি হবে।

তবে এই মুহূর্তে আমরা কোনো কথা শুনব না। ভারতের একজন নাগরিক তাঁর মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করতেই পারেন। তাঁকে তার জন্য আটক রাখা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার বিরোধী। তাঁর জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নষ্ট করার কোনো অধিকার সরকারের নেই। আর এক দিনও ওঁকে আটক রাখা যাবে না।

এই নির্দেশের পর আজ নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই পৌনে পাঁচটায় লাইচোমবামকে ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুলের স্নাতক লাইচোমবাম এর আগেও একবার রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে আটক হয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট গত সপ্তাহেই বলেছিল, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ব্রিটিশদের তৈরি রাষ্ট্রদ্রোহ আইন টিঁকিয়ে রাখা অর্থহীন। মহাত্মা গান্ধী, বালগঙ্গাধর তিলক-এর মতো জাতীয় নেতাদের আটক রাখার জন্য ব্রিটিশ শাসকদের অস্ত্র ছিল ওই আইন। সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য কেন্দ্র প্রকারান্তরে মেনেও নিয়েছে।

XS
SM
MD
LG