লাদাখের চীন সীমান্তে প্রথম দফায় কে নাইন বজ্র (K9 Vajra) সেলফ প্রপেলড হাউইৎজার রেজিমেন্ট পাঠাল ভারত।একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, লাদাখে পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে কে নাইন বজ্র। ওই ট্যাঙ্ক ৫০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। গুজরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পে ওই ট্যাঙ্কগুলি তৈরি করেছে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারভানে অভিযোগ করেন, লাদাখের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ফের সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, অস্ত্রশস্ত্রও মজুত করছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এই প্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলে হাউইৎজার রেজিমেন্ট পাঠানো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চীন দুই দেশ। বরং সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখার যে আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে তার মর্যাদা ভেঙেছে চীনই। নতুন করে আগ্রাসনের চেষ্টা দেখিয়েছে তারা। যার কারণে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে।
জুলাই মাসেই তাজাকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাতে চীন সম্মতিও দিয়েছিল। সেনাপ্রধান বলছেন, ১৩ বার দুই দেশের মধ্যে সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে বড় ধরনের কোন সংঘাত না ঘটলেও, চীন গোপনে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে চলেছে ইন্টার্ন ও নর্দার্ন ফ্রন্টে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সেনা সূত্র বলছে, চীন যে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে সে সন্দেহ বরাবরই ছিল।সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এর আগেও সেনা সরিয়ে নেওয়ার নাম করে, লাদাখের অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নতুন করে সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছিল চীন।
২০১৭ সালে ১০০ টি কে নাইন বজ্র তৈরির কাজ পায় লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো, যার মূল্য ছিল ৪৫০০ কোটি রূপী। ট্যাঙ্ক নির্মাণের জন্য ওই সংস্থা সুরাট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে হাজিরা অঞ্চলে কারখানা তৈরি করে। ৪২ দিনের মধ্যে ১০০ টি ট্যাঙ্ক বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া ১০ টি হাউইৎজার কামানের যন্ত্রাংশ দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়াহা টেকউইন কোম্পানি থেকে কেনা হয়। এদেশে যন্ত্রাংশগুলি অ্যাসেম্বল করে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো।