কতোজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং কতোজন আগে থেকে এখানে অবস্থান করছে- এ ব্যাপারে ঢাকার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেছে মিয়ানমার। আর এতে দুই প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ২৯ ডিসেম্বর তলব করে গত ৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং আগে থেকে ৩ লাখ অবস্থান করছে বলে জানিয়ে দেয়। সাথে সাথে যথাশিগগির ওই মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফেরত নেয়ারও তাগিদ দেয়া হয়। পরের দিনই অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশের দেয়া ওই তথ্য এবং সংখ্যাকে আমলে না নিয়ে মাত্র ২ হাজার ৪শ ১৫ জন তারা ফেরত নেবে বলে ঘোষণা করে।
এদিকে, সবশেষ খবরে জানা গেছে, ৯ অক্টোবরের পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থা মূল্যায়ন এবং ঢাকার সাথে আলোচনার জন্য মিয়ানমার সরকারের একজন বিশেষ দূত ঢাকা সফর করবেন মিয়ানমার কর্মসূচি স্থির করছে। তবে কবে নাগাদ ওই বিশেষ দূত আসবেন ঢাকাতে তা এখনও অবহতি করা হয়নি।