সন্ত্রাস দমন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি নতুন টাস্কফোর্স বৃটেনের কারাগারগুলোতে উগ্রপন্থা অবদমনের একটি বিশেষ কর্মসূচি সোমবার থেকে শুরু করতে যাচ্ছে। খবরে বলা হয়েছে, কারাগারগুলোতে ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি কয়েদীকে উগ্রপন্থি কিংবা যে কোন সময় উগ্র পন্থায় ঝুঁকে পড়ার মতো পর্যায়ে থাকার বিবেচনায় চিহ্নিত করা হয়েছে। কারাগার বিষয়ক মন্ত্রী স্যাম বলেছেন, জননিরাপত্তা এবং কারাগারগুলোকে নিরাপদ রাখার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাস দমনের জন্য এই নতুন টাস্কফোর্স গঠনের পেছনে রয়েছে সরকারি কমিটির একটি সুপারিশ। যাতে বলা হয়েছে, বৃটেনের কারাগারগুলোতে ইসলামী চরমপন্থার বিস্তার ক্রমবর্ধমান হারে একটি সমস্যায় রূপ নিয়েছে। সরকারি ওই মূল্যায়ণে বলা হয় যে, কয়েদীদের মধ্যে আইএস’র প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার মতো লোক রয়েছে। আবার ক্যারিশমেটিক হিসেবে বিবেচিত অনেক সহবন্দিদের কাছে নিজেকে ‘স্বঘোষিত আমীর’ হিসেবে জাহির করার প্রবণতা দেখাচ্ছে। এরপর একটি তদন্ত অনুষ্ঠান শেষে সরকার গত বছর ঘোষণা দেয় যে, তারা ভয়ঙ্কর উগ্রপন্থিদের কারাগারের অবশিষ্ট কয়েদীদের থেকে আলাদা করবে।
লন্ডনের রেডিক্যালাইজেশন প্রতিহত করার কাজে নিয়োজিত একটি ফাউন্ডেশনের প্রধান হলেন হানিফ কাদির। তিনি একজন সাবেক তালেবান যোদ্ধা। তিনি স্কাই নিউজকে বলেছেন, আইএস প্রতিষ্ঠা এবং তাদের দ্বারা জিহাদে অংশগ্রহণের আহবান জানানোর পর থেকে কারাগারগুলোতে রেডিক্যালাইজেশন নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।