অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মমতা ব্যানার্জীর তিস্তা নদীর পানি বন্টনের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যে সব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে-তার কোথাও নেই তিস্তা নদীর পানি বন্টনের বিষয়টি। ভারতের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হচ্ছে যে, ওই দেশের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীই বাধাসৃষ্টিকারী হিসেবে দাড়িয়েছেন। এমতবস্থায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবন-যেখানে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী অবস্থান করছেন-সেখানে তিস্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আমন্ত্রণ জানান। ওই আলোচনায় মমতা ব্যানার্জী তিস্তার ব্যাপারে অনঢ় ভ‚মিকা দেখিয়ে উল্টো তিস্তার বিকল্প একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটি হচ্ছে, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত ৫টি অভিন্ন নদী যেমন- তোর্ষা, ধরলা, ধানসিড়ি, মানসিঁড়ি এবং জলঢাকা- এসব নদীর পানি ভারতের সাথে ভাগাভাগি করা।
ফলে মমতা ব্যানার্জীর বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এদিকে, তিস্তার পানিবন্টন চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অনঢ় অবস্থান ও বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক।
বাংলাদেশের পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন, তিস্তা নদীর পানিবন্টন বিষয়টির কোনোই বিকল্প নেই। পানিবন্টন সংকট নিরসনই- তিস্তা সমস্যার সমাধান।

please wait

No media source currently available

0:00 0:04:44 0:00

XS
SM
MD
LG