পশ্চিমবঙ্গে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক বাংলা ভাষা পড়তে হবে। এরই প্রতিবাদে গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার ডাকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের অধিকাংশ স্কুল বন্ধ। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা। পাহাড়কে ফের অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসংগত বলা যেতে পারে অতি সম্প্রতি উত্তর বঙ্গের পাহাড়ে পুর সভার নির্বাচনে গোর্খা জন মুক্তি মোর্চাকে হারিয়ে মিরিক পুরসভায় বোর্ড গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সাথে বলা যেতে পারে আগামী সপ্তাহে আট তারিখ পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সংঘাতের পথেই হাঁটছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাএমনই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের। শুধু তাই নয় গতকালই পাহাড়ে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয় সংশ্লিষ্ট গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার দাবীকে সামনে রেখেই। উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্য সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আবশ্যিক হচ্ছে বাংলা ভাষা। কলকাতায় বেসরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে বৈঠকে ফের সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগেই বিরোধীতা করেছিল গোর্খা জন মুক্তি মোর্চা। জানা যাচ্ছে আজ শুক্রবারও পাহাড়ে স্কুল-কলেজ বনধের ডাক দিয়েছে মোর্চা। আগামী চৌঠা জুন থেকে লাগাতার মিছিল করবেন গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের মত ‘ভাষা আন্দোলন’কে তীব্র করতে চাইছে মোর্চা। পাহাড়ের পাশাপাশি তরাই-ডুয়ার্সের যে সব গোর্খা অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে, সেখানে, এক সপ্তাহ ধরে কালো পতাকা লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে খবর যদিও তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য মোর্চার এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এখন আগামী আট তারিখ পাহাড়ে অনুষ্ঠিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন, পাহাড়ে মোর্চা কী ভূমিকা নেয়, সেটাই এখন দেখার। তবে প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আন্দোলনের নামে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হলে, কিম্বা জুলুমবাজি করা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না।