মালালা ইউসুফযাইযের মাথায় গুলির আঘাত হানা হয়েছিলো বয়স যখন ছিলো তাঁর মাত্রই চোদ্দ বছর। তিনি নারী শিক্ষার অধিকার দাবী করেছিলেন তার জন্যে তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি নোবেল শান্তি পরস্কারে ভুষিত হন- এতো কম বয়সে এর আগে আর কেউই নোবেল পুরস্কারে ভুষিত হননি। গেলো বৃহস্পতিবার তিনি স্বদেশ ভূমি পাকিস্তান ফিরে যান- কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইসলামাবাদে তাঁর দেখা হয় – কথা হয়।
টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে বলতে শোনা যায় – আবার নিজ স্বদেশ ভূমি পাকিস্তান ফিরতে পেরে কি যারপরনাই আনন্দিত তিনি। আজ শনিবার তিনি গিয়েছেন তাঁর সেই আজন্মের আদি নিবাস পাকিস্তানের মনোরম সোয়াত উপত্যকার মিঙ্গোরায়। মালালার পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনে খুশি অনেকেই- অনেকেই আবার অখুশিও। নবীন বয়সী পাকিস্তানী কন্যাদের অনেকেই মালালার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে- মামালার মতো হতে চায় অনেকেই তাদের। মালালাকে হৃদয়ে ধারণ করে অনেক পাকিস্তানী কন্যাই সযতনে-হার্দিক অনুভবে।
মালালার পাকিস্তান আগমন নিয়ে মামকাওয়াথ আহসানের সঙ্গে কথোপথন:
কি মনে হয় আপনার?
মালালার যে মিশনের কারণে তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়েছিলো, যে মিশনে উদ্বুদ্ধ আজ পাকিস্তানের নবীন প্রজন্মের মেয়েরা- মায়েরাও- সে মিশন কতোখানি অনুপ্রাণিত- অনিরুদ্ধ হতে পেরেছে ব’লে আপনার মনে হয়?
বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের অনেকে আবার নাখোশ মালালার পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনে – কেন?
পাকিস্তানে, পাকিস্তানের মতো আরো কোনো কোনো দেশে, নবীন বয়সীদের একাংশকে মৌলবাদে, আরো নির্দিষ্টভাবে বলা যেতে পারে উগ্রপন্থায় আকৃষ্ট করা হ’চ্ছে বলে বলাও হচ্ছে – কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখাও যাচ্ছে তা বিভিন্ন সহিংস তৎপরতার মধ্যে দিয়ে। আপনার কি মনে হয়?
মালালাকে নানানভাবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা যেমন চলছে – তেমনি অপরদিকে মালালার নিজেরও পাকিস্তানকে নিয়ে, মিঙ্গোরাকে নিয়ে, স্বপ্ন রয়েছে অনেক- তাঁকে নিয়েও পাকিস্তানের একাংশেরও সূভাবনা রয়েছে। আপনার কি মনে হয়।