অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র সম্পর্কে কিছু তথ্য


পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ঠা এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে হত্যা করা হয়।

জন্ম

তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ১৫ই জানুয়ারী জর্জিয়ার আটলান্টায়। আটলান্টার সম্মানীত ধর্ম প্রচারক ও নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং সিনিয়রের পুত্র ছিলেন তিনি। তাঁর মা এ্যালবার্টা কিং ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। কিং বলেছেন ৬ বছর বয়সে তাঁর এক শ্বেতাঙ্গ বন্ধুর বাবা যখন তাঁ সঙ্গে তাঁর সেই বন্ধুকে খেলতে বারণ করে তখন থেকেই বর্ণবাদের বিষয়ে সচেতন হন তিনি।

নেতৃত্ব দান

১৯৫০ এর মাঝামাঝি সময়ে কিং মানুষের নজর কাড়েন যখন একজন তরুণ ধর্মপ্রচারক কিং এ্যালাবামার মন্টগোমারীতে পাবলিক বাসে কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীদের ওঠার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে সফল আন্দোলন করেন। বৈষম্য দূরীকরণ, কৃষ্ণাঙ্গদের সমান অধিকার ও ভোটাধিকারের দাবীতে ১৯৫০ ও ১৯৬০ সময়ের মধ্যে তিনি দটি সফল বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন।

অহিংস আন্দোলন

কিং জানতেন নাগরিক অধিকার আদায়ের মূল কৌশল হচ্ছে সংঘাত বিহীন প্রতিবাদ, অহিংস আন্দোলন। বলা হয় কিং ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত। তিনি এ্যালাবামার বার্মিংহামে পুলিশের হামলা স্বত্বেও শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ করেন। এলাবামার সেলমায় শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ করেন যাতে পুলিশি হামলা হয়।

মার্চ অন ওয়াশিংটন

কিং এর স্মরণীয় উক্তি ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ বক্তৃতা মূলত কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্দোলন হলেও তা পরিণত হয় নাগরিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ১৯৬৩ সালের আগস্ট নাগাদ, সমতার দাবীতে আড়াই লাখ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ মার্চ অন ওয়াশিংটনে অংশ নেন। শান্তিপূর্ন সেই সমাবেশে কোনো গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি।

নোবেল পুরস্কার

১৯৬৪ সাল নাগাদ নাগরিক অধিকার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন সিভিল রাইটস এ্যাক্ট স্বাক্ষর করেন। মার্টিন লুথার কিং পান নোবেল শান্তি পুরষ্কার। পরের বছর, কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটদানের অধিকার থেকে বিরত রাখতে যেসব আইন ছিল তা তুলে নেয়া হয়। হত্যা

৪ঠা এপ্রিল ১৯৬৮ তারিখে মেমফিসের একটি মোটেলের ব্যালকনিতে এক বন্দুকধারী হত্যা করে লুথার কিংকে।

XS
SM
MD
LG