দেশের সীমান্তে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে আগামী দিন কী করনীয় সেব্যাপারে মতবিনিময় সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাত করার লক্ষ্যেই দিল্লীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শক্তিবাহিনী ও কলকাতাস্থ মার্কিন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল সাতাশ ও আঠাশে এপ্রিল দুহাজার আঠেরো' দুদিন ব্যাপী সপ্তম অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং কনক্লেভ শীর্ষক কর্মশালা ও সম্মেলন এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভা।
সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা ও প্রতিনিধিরা নারী ও শিশু পাচার রোধে একটি জোরালো ও সুসংহত দ্বিপাক্ষিক এবং শক্তিশালী গবেষনালব্ধ এজেন্ডার ওপর জোর দেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় কলকাতাস্থ মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেইগ হল বলেন, তাঁর কথায়-"গত সাত বছরে আমরা সহযোগিতার মহান উদাহরণ দেখেছি যেখানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্থানীয় সরকার এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে হস্তক্ষেপ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত, একুশ শতকে বিশ্বব্যাপী সহানুভূতিশীল অংশীদার হিসাবে, মানবাধিকারের দৃঢ়তা সহ ভাগ করে নেওয়া আগ্রহের বিষয়ে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সব ধরনের মানব পাচার বন্ধ করার জন্য একসাথে কাজ করা এই অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "শক্তি বাহিনী"র প্রতিষ্ঠাতা রবি কান্ত উল্লেখ করেন, "মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ। আমরা একসঙ্গে এই অপরাধ রুখতে এবং যুদ্ধ করতে সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সাথে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর"। সেইসাথে শক্তিবাহিনীর দ্বিতীয় কর্মকর্তা ঋষিকান্ত এক প্রতিক্রিয়ায় জানান প্রসংগত বলা যেতে পারে সপ্তম অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং কনক্লেভে বাংলাদেশ নেপাল সহ গোটা দেশ অর্থাৎ ভারতের হরিয়ানা দিল্লী ঝাড়খন্ড বিহার পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে মোট একশো চল্লিশ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগদান করেছেন।
সম্মেলনে কলকাতাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট জেনারেলের স্থানীয় এবং আঞ্চলিক অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার, এনজিও, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।