আর কয়েকদিন পরই যখন জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে , তখন দূতাবাস তেল আবিব থেকে এই স্থানান্তর বোঝানোর জন্য তার টুইটার পরিচিতিতে পরিবর্তন এনেছে। আজ এক টুইটার বার্তায় দূতাবাস জানায় যে তাদের টুইটার পরিচিতি হবে USEmbassyJerusalem, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সঠিক পরিচিতি হচ্ছে @usembassyjlm.
বড় এই স্থানে অবশ্যম্ভাবী কিছু সমস্যা সত্বেও , দূতাবাসটির উদ্বোধন হবে সোমবার এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের এই প্রতিশ্রুতি পুরণ হবে যে তিনি দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেবেন। এই স্থানান্তরের মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র , জেরুজালেমকে ইসরা্ইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে । এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন ইসরাইলিদের পুলকিত করেছে , অনৌ্যদিকে ঠিক তেমনি ফিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করেছে। ফিলিস্তিনিরা পুর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে চাইছে , যেটি কীনা ইসরাইল, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের সময়ে দখর করে নেয়।
একজন শীর্ষ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা সায়েব এরেকাত কুটনীতিক , নাগরিক সমাজ এবং ধর্মীয় নেতাদের ঐ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে যারা ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা এই রকম একটা সর্বনাশা বার্তা দেবেন যে তারা আন্তর্জাতিক আইনের গর্হিত লংঘনকে উৎসাহিত করছেন। ইসরাইলে যে প্রায় ডজন খানেক দেশের দূতাবাস রয়েছে, সেগুলোর প্রায় সব ক’টিই রয়েছে তেল আবিবে। ট্রাম্প এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন না তবে তাঁর প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করবেন উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন সালিভান , অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন , ট্রাম্পের কন্যা ইভাংকা এবং তার স্বামী হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন সহকারী জ্যারেড কুশনার।