ট্যারান্টুলার আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে রাজ্যের পুরুলিয়া জেলা কে। আবার এই ট্যারান্টুলা গোত্রের মাকড়সা উদ্ধার হল পুরুলিয়ার বোরো ও রঘুনাথপুর বনাঞ্চল থেকে। বোরো,বান্দোয়ান, মানবাজার, পুঞ্চা, বলরামপুরের পর রঘুনাথপুর বনাঞ্চলে ওই ট্যারান্টুলা গোত্রের মাকড়সা উদ্ধার হওয়ায় গোটা জেলা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর বনাঞ্চলের সাঁতুড়ি বিট এলাকায় সৌমেন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ট্যারান্টুলা গোত্রের মাকড়সা উদ্ধার হয়। তারপর তারাই ওই মাকড়সাটিকে কৌটো বন্দি করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। এদিকে বোরো বনাঞ্চলের জামতোড়িয়া বিটের কোদগড়া থেকে ওই ট্যারেন্টুলাও উদ্ধার হয়। বোরো বনাঞ্চলের জামতোড়িয়া বিটের আধিকারিক সমর মাহাতো ও সাঁতুড়ি বিটের আধিকারিক মনোজিৎ শেঠ বলেন, “আপাতত তাদের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যা বলবে সেই মোতাবেক তারা ব্যবস্থা নেবেন।” তবে প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই আটপেয়ে মাকড়সা উদ্ধার হওয়ায় পুরুলিয়ার প্রায় সর্বত্রই ট্যারান্টুলা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ফলে হিমশিম অবস্থা বনদপ্তরের কর্মীদের। ওই মাকড়সার দেখা মিললেই তা উদ্ধার করতে বনকর্মীদেরকে যেতে হচ্ছে। তবে ওই আটপেয়ে লোমশ মাকড়সাগুলিকে সরাসরি ট্যারান্টুলা বলছে না বন দপ্তর। তাই এই লোমশ মাকড়সা দেখে যাতে সাধারণ মানুষজন উদ্বিগ্ন না হন তাই সচেতনতার প্রচার শুরু করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও ট্যারান্টুলা আতঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারছে না এই জেলা। এই মাকড়সা দেখলেই আতঙ্কে সিঁটিয়ে যাচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা।
সম্প্রতি চেন্নাই থেকে কলকাতায় ফেরার সময়ই এইরকম এক লোমশ মাকড়সার কামড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। তারপরই এই মাকড়সার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় সারা রাজ্যেই। কয়েকমাস আগে এই ধরনের মাকড়সা জেলার সাঁতুড়িতে পাওয়া গিয়েছিল। তারপর গত দশ দিনে এই জেলার সাত জায়গায় এই মাকড়সা দেখতে পাওয়া যায়।