নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহার চায় বাংলাদেশ। সরকারের তরফে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এই বিবৃতি দুটি অনভিপ্রেত ও অযাচিত। এটা এক ধরনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শিষ্টাচার বহির্ভুত নাক গলানোর অপপ্রয়াস। সরকার এই অপপ্রয়াসের নিন্দা জানায়।
মার্কিন দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছিল নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য যে হাজার হাজার শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করছে তাদের ওপর বর্বর হামলা ও সহিংসতা কোন যুক্তিতেই সমর্থন করা যায় না।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন দূতাবাস যে বিবৃতি দিয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
উল্লেখ্য যে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। যারা গায়ে হাত দিয়েছে, হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ছাত্র আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলাকারীদেরকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। গ্রেপ্তারকৃত আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের সঙ্গে পুলিশি হেফাজতে আইনানুগ আচরণ করার জন্য নির্দেশনা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশ পাঠানোর কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ঘটনাস্থলে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মত প্রকাশের জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করার কোন কারণ থাকতে পারে না।
ওদিকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহীদল আলমকে গোয়েন্দা হেফাজত থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী