মিয়ানমার এবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করছে। মানচিত্রে দ্বীপটি অন্তর্ভুক্ত করে তারা এ লক্ষে দুটি গ্লোবাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। বাংলাদেশ বলছে, এটা হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য। কারণ ঐতিহাসিকভাবে দ্বীপটি বাংলাদেশের অংশ।
১৯৩৭ সালের পর থেকে এ দ্বীপটি কখনো মিয়ানমারের অংশ ছিল না। মিয়ানমারের এই অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানাতে ঢাকাস্থ দেশটির রাষ্ট্রদূত ইউ লুইনকে শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। জানানো হয় কড়া প্রতিবাদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট প্রধান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খোরশেদ আলম রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদ লিপি হস্তান্তর করেন। এতে বলা হয়, ঢাকা মনে করে এটা মিয়ানমারের সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ। তাই যদি না হবে তাহলে তারা কোন ক্ষমতাবলে গ্লোবাল ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিবাদের জবাবে রাষ্ট্রদূত তখন বলেছেন বাংলাদেশের উদ্বেগ তার সরকারকে জানাবেন। এক পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মানচিত্রে সেন্টমার্টিনকে তাদের অংশ দেখানোটা ভুল হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের পটভূমিতে মিয়ানমারের এই প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশ খাটো করে দেখছে না। স্মরণ করা যায় যে, ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয় তখন এটা পড়েছিল ভারতে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দ্বীপটি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জ বাংলাদেশের অংশ ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী