জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ওমর আবদুল্লাহ আজ বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার যদি আফগানিস্তান নিয়ে তালিবানের সঙ্গে কথা বলতে পারে, তা হলে কাশ্মীর নিয়ে হুরিয়তের সঙ্গেই বা নয় কেন।
বস্তুত, তালিবানের সঙ্গে ভারতের শেষ যোগাযোগ হয়েছিল ১৯৯৯ সালে যখন ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী কালে তালিবান শাসন মুক্ত আফগানিস্তানের পূনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ভারত অংশ নিলেও তাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তবে সে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আজ রাশিয়ার উদ্যোগে মস্কোয় যে বৈঠক শুরু হয়েছে, তাতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতও, যদিও গতকালই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি ভাবে নয়, ভারত থাকছে বেসরকারি ভাবে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি আলোচনায় যোগ না দিয়ে মস্কোর দূতাবাস থেকে একজনকে পরিদর্শক হিসেবে পাঠাবে বলেছে। ঠিক এই জায়গাটা ধরে আজই ওমর টুইট বার্তায় বলেন, এককালের ব্রাত্য তালিবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারলে কাশ্মীরে শান্তির স্বার্থে হুরিয়তের সঙ্গে কেন নয়! এর জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, হুরিয়তকে আলোচনার টেবিলে আনা যায় না। অতি সম্প্রতি কাশ্মীরের পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, আপসে তারা রাজি নয়।