বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়ে গেলো। আজ ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, তিন বাহিনী প্রধান, কূটনৈতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে রাষ্ট্রপতি পরির্দশন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
ঢাকা থেকে নাসরিন হুদা বিথীর রিপোর্ট।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার সাথে ছিলেন মন্ত্রী, এমপিসহ দলীয় নেতা কর্মীরা। নেতা কর্মীরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন-তোমরাই গড়ে তুলবে আগামী দিনে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। পরে তিনি কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
বাংলাদেশে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা, পদযাত্রা, স্কুল শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দিনভর আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচির। এসব কর্মসূচি থেকে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের উত্তরের জেলাগুলোতেও পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বগুড়ার পুলিশ শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচি পালন করে।