অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মুলারের রিপোর্টটি পূর্নাঙ্গভাবে প্রকাশের আহবান ডেমোক্রেটদের


২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার সঙ্গে রুশ সংযোগ ছিল না বলে বিশেষ কৌঁশুলি রবার্ট মুলার তার তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করেছেন।

২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার সঙ্গে রুশ সংযোগ ছিল না বলে বিশেষ কৌঁশুলি রবার্ট মুলার তার তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করেছেন। রবিবার রিপোর্টের সংক্ষিপ্ত অংশ কংগ্রেসে উপস্থাপন করেন এ্যাটর্নী জেনারেল উইলিয়াম বার। তবে তাতে, জনাব ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বিচার বাধাগ্রস্ত করেছেন কিনা।

কংগ্রেশনাল ডেমোক্রেটরা মঙ্গলবার রবার্ট মুলারের রিপোর্টটি পূর্নাঙ্গভাবে প্রকাশের আহবান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন আমেরিকানদের অধিকার রয়েছে রিপোর্টের বিস্তারিত জানার। পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে জানা যাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধভাবে বিচার বাধাগ্রস্ত করেছেন কিনা, সে বিষয়ে মুলার কেনো কিছু উল্লেখ করেন নি।

আমাদের কংগ্রেশনাল রিপোর্টার ক্যাথরিন জিপসন এ বিষয়ক এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন এ পর্যন্ত ঐ রিপোর্টর সারসংক্ষেপ জানা গেছে; আর তাতে বিরোধীপক্ষের মধ্যে যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে; পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ্যাটর্নী জেনারেল বারকে সতর্ক থাকতে হবে। সেনেট সংখ্যাগরিষ্ট নেতা মিচ ম্যাককনেল এমনটিই বলেছেন, “নিরাপরাধ মানুষকে বাসের নীচে নিক্ষেপ করা এবং বিশেষায়িত দলিল দস্তাবেজ উন্মুক্ত করাটা ঠিক কাজ বলে মনে হয়না আমার। আমি তাকে বিশ্বাস করি”।

তবে ডেমোক্রেটদের বক্তব্য হচ্ছে- পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া অসম্ভব। সেনেট সংখ্যাগরিষ্ট নেতা চাক শুমারের মন্তব্য: “এ্যাটর্নী জেনারেল বারের ব্যাখ্যর আমার দরকার নেই। আমি চাই রিপোর্টটি পড়তে। আমাদের প্রশ্ন সোজা- সেটা হচ্ছে স্বচ্ছতা নিয়ে- তাই রিপোর্টটি প্রকাশ করুন- উপসংহারে আসুন”।

ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত ছয়টি হাউজ কমিটির প্রধানরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাটর্নী জেনারেল বারের কাছে ঐ রিপোর্ট ২রা এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশের আহবান জানিয়েছেন। যদি তা না করা হয়- পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ডেমোক্রেটরা কি পদক্ষেপ নেবে।

ডেমোক্রেট শিলা জ্যাকসন লি এ প্রসঙ্গে বলেন: “কমিটি হিসাবে আমাদের সাপিনা বা তলবনামা জারির ক্ষমতা আছে। আর ঐ রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে এ্যাটর্নী জেনারেলের জন্য কোনো বিশেষ বাধার কিছু দেখছি না। হাউজে আমাদের ৪২০ ভোট আছে এবং আমেরিকানরা সেটি দেখতে চান”।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুলার রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন এর মাধ্যমে যেসব ডেমোক্রেট ইম্পিচমেন্ট নিয়ে আলোচনা করছিলেন তার অবসান ঘটলো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন: “আমার মনে হয়না তারা ইম্পিচমেন্ট নিয়ে কথা বলছেন। আমাদের অর্থনীতি এখন সর্ববৃহৎ; আমাদের দেশের অবস্থা এখন খুবই ভালো। তারা বানোয়াট একটি অবস্থার সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল যাকে উইচ হান্ট বলা যায়; সেটি এখন শক্তভাবে প্রমানিত হয়েছে যে কোনো আতাত ছিল না। কিছুই ছিল না”।

ডেমোক্রেটরা বলছেন পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন না প্রকাশ করা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। রাশিয়া বিষয় ছাড়াও ডেমোক্রেটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আয়কর, বিদেশে ব্যবসা বানিজ্য, আত্মীয় স্বজনের অবস্থাসহ নানা বিষয় তদন্ত করছে; এসব যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি; বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনকে কতোটা প্রভাবিত করবে তা বোঝা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ডেমোক্রেটরা চাচ্ছেন মুলারের পূর্নাঙ্গ প্রতিবেনটির প্রকাশ। রিপাবলিকানরা চান না। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে এর সমাধান কি? এ নিয়ে আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ ও ক্যালিফোর্নিয়া ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গনমাধ্যমের শিক্ষক ড. আবু নাসের রাজীব।

please wait

No media source currently available

0:00 0:38:04 0:00

XS
SM
MD
LG