অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে ১৫জন বক্তার ওয়াজের ওপর কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ


বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলগুলোতে ইসলামিক বক্তাদের ওয়াজে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ১৫ জন ওয়াজ বক্তাকে চিহ্নিত করে তাদের বক্তব্য প্রতিরোধে ছয়টি সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলগুলোতে ইসলামিক বক্তাদের ওয়াজে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ১৫ জন ওয়াজ বক্তাকে চিহ্নিত করে তাদের বক্তব্য প্রতিরোধে ছয়টি সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেলিম হোসেন কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন ইসলামিক চিন্তাবিদের সঙ্গে।

বক্তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকা নিয়ে কটূক্তি, ইত্যাদি অভিযোগের কারনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্দেশ জারি করে।

সুপারিশগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি আকারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সুপারিশমালার মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াজের বক্তাদের করের আওতায় আনা এবং বক্তারা দেশবিরোধী বক্তব্য দিলে আইনের আওতায় আনা।

এ প্রসঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মুখপাত্র নূর মোহাম্মদ আলম বলেন তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ পেয়েছেন এবং এ নিয়ে আলোচনা করছেন।

এই ১৫ জন বক্তারা হলেন, আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান (মুহতামিম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুর), আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের ইমাম ও বাংলাদেশ জামিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন হ্যা এটা ঠিক ঐ ১৫ জন মাওলানার ওয়াজে নানা ধরনের উস্কানীমূলক কথা থাকে যা সাধারন মানুষের অনুভূতিকে নাড়া দিতে পারে এবং অমুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক কাজে তারা উদ্বুদ্ধ হতে পারে।

নিউইয়র্কে বসবাসরত ইন্টারফেইথ নেতা ও মোহাম্মদী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম কাজী কাইয়ুম বলেন ঐ ১৫ বক্তার বক্তব্যে নানা উস্কানী থাকে এবং সরকারের উচিৎ তাদের সম্পর্কে আরো তদন্ত করার।

ঐসব বক্তার ওয়াজে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ পালন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, নারী সম্পর্কিত বক্তব্য, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য যেনো না দেয় তা উল্লেখ করা হয়।

please wait

No media source currently available

0:00 0:07:24 0:00


XS
SM
MD
LG