জাপানের ফুকুকা শহরে জি-২০ এর অর্থ মন্ত্রীদের বৈঠকে আজ এ ব্যাপারে সকলেই একমত হয়েছেন যে, বড় কোম্পানিগুলো তাদের অংশের অর্থ প্রদান করুক এবং যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমে আসছে তখন তাদের উচিৎ হবে অর্থনীতিকে সহায়তা প্রদান।
জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো বলেন যে, সংস্কারের কারণে কারো বড় রকমের ক্ষতি হওয়া উচিৎ নয়। তিনি বলছেন, এ ধরণের সংস্কার হবে এই শতকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
অর্থমন্ত্রীরা নতুন কর নীতি মূল্যায়ন করছেন যার ভিত্তি হচ্ছে একটি দেশে ঐ কোম্পানির ব্যবসা, তার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত সেটা কোন ব্যাপার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেন যে, বাজারজাতকরণ এবং নিজেদের কোম্পানির অনলাইনে বিক্রির মধ্যে কোন পার্থক্য থাকা উচিৎ নয়।
তবে কোন কোন ধনী এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা বিস্তারিত কিছু বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন, তারা বর্তমান করপদ্ধতি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন।
বিশ্বের কুড়িটি বৃহত্তম অর্থনীতির গোষ্ঠি জি-২০, আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থাটা ঠিক করার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংগঠনকে দায়িত্ব দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ফেইসবুক কিংবা অ্যামাজনের মতো কোন কোন বৃহৎ ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলো আইয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলোর স্বল্প করের সুযোগ নিয়ে থাকে এবং অন্যান্য দেশেও যেখানে তারা বিপুল মুনাফা করে সেখানেও প্রায় কোন কর-ই দেয় না।