অনেকগুলো সপ্তাহ পার হয়ে, এখন বেশ কয়েক সপ্তাহের ক্ষুদ্ধ মারকুটে সড়ক প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর হংকংয়ের নেত্রি ক্যারী ল্যাম বলছেন এখন – যে, আইনটিতে বিচারার্থে চীনের মূল ভূখন্ডে প্রত্যর্পনের বিধান করা হয়েছিলো সে আইনটি এখন খতম। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এহেন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা ক’রে সংকট কবলিত ক্যারী ল্যাম স্বীকার করেন যে, সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বা সরকার বিধান পরিষদে আবার ঐ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে কিনা সে প্রশ্নে সংশয় জনমনে জিইয়ে রয়েছে এখনো।
ঐ আইন প্রস্তাবটি পাশ করানোর উদ্যোগ প্রয়াস একদম ব্যর্থ হয়েছে ব’লে উল্লেখ করেন ল্যাম -তবে, আইন প্রস্তাবটি প্রতিবাদ বিক্ষোভকারিদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রত্যাহার করা হ’চ্ছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি।
আইন প্রস্তাবটি এপ্রিল মাসে উত্থাপিত হবার পর পরই ব্যাপক বিস্তৃত পরিসরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় – আইন প্রস্তাবটির বিরোধীরা- অপরাধী বলে যাদের সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে তাদেরকে হংকংয়ের আইনী প্রক্রিয়ার চেয়ে অনেকখানিই ভিন্নতরো আইনী প্রক্রিয়াধীন চীনের কাছে প্রত্যর্পন করা হতে পারে ভেবে শংকিত হয়ে ওঠে। এ চিন্তাধারা ক্রমশ:ই হংকংয়ের সমাজে ব্যাপক বিস্তৃতভাবে এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ি গোষ্ঠী আর আইন পরিসরে- গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর মধ্যেও চারিয়ে ওঠে।