প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চল কেন্দ্রীক দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিস্পত্তিতে মধ্যস্থতার জন্যে তাঁকে অনুরোধ ক’রেছেন ব’লে মন্তব্য ক’রেছেন, ভারতে তা নিয়ে তুলকালাম রাজনৈতিক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভারতে, ক্ষুদ্ধ-ক্রুদ্ধ সংষদ বিধায়কেরা এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দাবি ক’রলে পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর আজ মঙ্গলবার সংষদে জানান - সংষদকে আমি স্পষ্ট ক’রে আশ্বস্ত ক’রতে চাই- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রধানমন্ত্রী এরকম কোনোই অনুরোধ জানান নি। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে কাশ্মীর বিরোধের নিস্পত্তির ব্যাপারে রদবদল কিছুই হয়নি – একথা ব’লে মোদীর কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আস্বাস দেওয়া হোক ব’লে দাবি জানিয়েছেন রাজনীতি অঙ্গনের বিরোধী দলিয় নেতৃবর্গ। ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করেন হোয়াইট হাউসে, সোমবার- যখন পাকিস্তানের সফররত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ট্রাম্প বলেন – দরকার হ’লে, আমি খুশি মনেই মধ্যস্থের কাজ করতে রাজি হবো।
বিরোধীত কাশ্মীর প্রশ্নের নিস্পত্তি কল্পে তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তার ব্যাপারে ভারত, দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর ব্যাখ্যা ক’রে বলেন – বর্তমানের চুক্তি রফায় সম্পন্ন সম্মতির বুনিয়াদেই বিষয়াদির নিস্পত্তি হ’তে হবে । যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী এ্যালিস ওয়েলস টূইটবার্তায় ব’লেছেন- কাশ্মির দু’পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষ দ্বিপাক্ষিক বিষয় – ট্রাম্প প্রশাসন, ভারত-পাকিস্তান উভয়কেই আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, এবং সহায়তা করতে সম্মত রইবে।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন যাবত কাশ্মীর বিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা চেয়ে আসছে – কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, অতীতে দ্বিপাক্ষিক ভাবে নিস্পত্তির জন্যে বলে আসে।