ডেঙ্গু রোগ কিনা তা সনাক্ত করতেই এখন যত ঝামেলা। একদিকে কিট সংকট। অন্যদিকে চিকিৎসকদের অসহযোগিতা। ফলে জ্বর নিয়ে রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন।
১২০ টাকার কিট এখন ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি তরফে বলা হয়েছে কিটের সংকট নেই। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে কিটের অভাবে রাজধানীর একাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিটের সংকট চরমে পৌঁছায় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া পরীক্ষা না করার কথা বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৫ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সারা দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪৩৭ জন। রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে। সরকারিভাবে ১৮ জনের কথা বলা হচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ৮৫ জন মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মশার সংখ্যা বর্ষার আগে যা ছিল তার ১৩ গুণ বেড়েছে। বর্ষার আগে এডিস মশার ঘনত্ব ছিল ৩৬টি। এখন তা হয়েছে ৪৮৭টি। স্বাস্থ্য দপ্তরের গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে প্লাস্টিকের ড্রামে, পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানিতে, বালতি, খোলা ট্যাঙ্ক ও ফুলের টবে।
ওদিকে ঈদ সমাগত। বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ি যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে অবশ্য চিকিৎসকরা ভীষণভাবে চিন্তিত। বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. এবিএম হারুন মনে করেন, সামান্যতম সন্দেহ থাকলে কারো ঢাকা ছেড়ে না যাওয়া ভাল।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এক ভিডিও কনফারেন্সে অতীন ঘোষ বলেছেন, এডিস মশার প্রজননস্থল খুঁজে বের করে ধ্বংস করা প্রথম কাজ। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে জনগণকে সচেতন করা। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী