ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে শুদ্ধিকরণ শুরু হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এই অভিযোগে অপসারণের ঘটনা এই প্রথম। এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্বও শূন্য হয়ে পড়েছে। গোলাম রাব্বানী বর্তমানে ডাকসুরও সাধারণ সম্পাদক।
কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে ভেতরে-বাইরে নানামুখী আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে কমিশন দাবি করায় বিষয়টি সামনে আসে। উপাচার্য নিজেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান। এরপরই আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরো যদি ছাত্রলীগ সম্পর্কে কোন পরিবর্তন আসে তাও প্রধানমন্ত্রী মোকাবেলা করবেন ওবায়দুল কাদের এটাও উল্লেখ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক একজন মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সাম্প্রতিক এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রলীগ ভেঙ্গে দেয়ার কথাও বলেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অপসারণের পর সহ-সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে দলটির ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত তাদেরকে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথাও বলা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ছাত্রলীগ কোন অন্যায়কারী, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজকে প্রশ্রয় দেবে না।
ওদিকে বিভিন্ন বাম সংগঠন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী