অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাষন


উঁচু স্তরের ভূ-রাজনৈতক বিষয়াবলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ বিশ্ব নেতৃবর্গই নিউ ইয়র্কে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষন দিচ্ছেন আজ মঙ্গলবার।

উঁচু স্তরের ভূ-রাজনৈতক বিষয়াবলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ বিশ্ব নেতৃবর্গই নিউ ইয়র্কে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষন দিচ্ছেন আজ মঙ্গলবার।

এসব ভাষন শুরুই হ’চ্ছে জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্টোনিয়ো গুটেররেযের উদ্বোধনী মন্তব্যের পর পরই। সাধারণ পরিষদের ৭৪তমঅধিবেশনে ভাষন দিচ্ছেন আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়িপ রেজেপ এরদোয়ান, দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মূন জাই ইন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরঁ। এইসব ভাষন-বক্তৃতার ঠিক একদিন আগেই সূইডেনের তরূন বয়সী মতাদর্শী সংগ্রামী বিশ্ব নেতৃবর্গের উদ্দেশে ভর্ৎসনা-বাক্যের উচ্চারণে বলেছেন- মানুষ মরছে- ধুঁকছে বৈশ্বিক উষ্নায়নের প্রতিক্রিয়ায়, আর এমনি একটা সময়ে নেতৃবর্গ সক্কলেই ফাঁকা বুলি আউড়িয়ে চ’লেছেন। আমরা গণ-তিরোধান প্রক্রিয়ার সূচনাপর্বে এসে হাজির এখন – আর এমনি একটা সময়ে আপনারা কেবলই অর্থসম্পদের কথাই ব’লে চ’লেছেন। এইভাবেই যুব আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ চারিয়ে তোলেন পরিবেশ কর্মকান্ডের পুরোধা শুক্রবার শিক্ষালয় ধর্মঘটের নায়িকা । বলেন – ভবিষ্যত প্রজন্মের সক্কলেরই নজর এখন আপনাদের দিকে নিবদ্ধ। আপনারা যদি আমাদের ব্যর্থ ক৭রতে চান – তো আমরা কখোনই ক্ষমা ক’রবোনা আপনাদের।

য়োড়ষ বর্ষিয়া ঐ কিশোরী শীর্ষ অধিবেশন জমায়েত ষাটোর্ধ সংখ্যক প্রেসিডেন্ট-প্রধাণমন্ত্রীদেরকে হূঁশিয়ার ক’রে ব’লেছেন- যুব সমাজ আপনাদেরকে এভাবে পার পেয়ে যেতে দেবেনা – বলেন, এখানেই সীমান্ত রেখা টেনে দেওয়া হ’লো- এই এখনি, পরিবর্তন ঐ আসছে – তা ঐ ওঁদের তা কাম্য হোক বা নাই হোক।

মহাসচিক গুটেররেয ব’লেছেন – আমার প্রজন্ম ব্যর্থ হয়েছি – আমরা পৃথিবী গ্রহকে রক্ষা করার কাজে দায়িত্ব পালন ক’রতে পারিনি। এটা বদলাতে হবেই।

ভারতের হিসসা, পরিবেশ দূষনে, সবচেয়ে বড়ো মাপের পক্ষেরই অন্যতম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব’লেছেন – ভারত তার নবায়নযোগ্য জ্বালানী দু’ হাজার বাইশ সাল নাগাদ পক শ’ পঁচাত্তর গিগাবাইটে বাড়াতে পারবে। জার্মানীর চান্সেলার এ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন – তাঁর দেশ কার্বন উদ্গীরণ মাত্রা দু’ হাজার তিরিশ নাগাদ ৫৫ শতাংশ কমাবে। ট্রাম্প সোমবার জাতিসংঘের কোথাও কোনো মন্তব্য বা বক্তৃতার জন্যে নির্ধারিত ছিলেন না। দু’হাজার পনেরো সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহনের পর পরই তিনি প্যারিস পরিবেশ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে হঠিয়ে নিয়ে আসেন।

প্যারিস পরিবেশ চূক্তিতে অনুসমর্থন দিয়েছে এক শ’ ছিয়াশিটি দেশ। চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্নায়ন দু’ ডিগ্রি মাত্রা অতিক্রমের ব্যাপারে সতর্ক রইবার হূঁশিয়ারি দিয়ে ব’লা হয়েছে- এটাকে গ্রীনহাউস গ্যাস নি:সরন কমিয়ে দেড় ডিগ্রি মাত্রাতেই ধরে রাখতে হবে।

XS
SM
MD
LG