করোনা ভাইরাসের কারণে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা শুধু আতঙ্কেই নন তারা চাকরিও হারাচ্ছেন। এই মুহূর্তে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো বাংলাদেশী ইতালিতে রয়েছেন। ইতালির বেশির ভাগ শহরে জনকোলাহল থেমে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা ঝুলছে। সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট, নাইট ক্লাবগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ। সিনেমা হল, যাদুঘরও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চরম সংকটে পড়েছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। রেস্টুরেন্টের বেশির ভাগই চীনা মালিকানায়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাংলাদেশীরা। রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা চাকরি হারাচ্ছেন। এমনই একজন প্রিন্স মাহমুদ। মাদারীপুরে বাড়ি। দশ বছর যাবত ইতালিতে রয়েছেন। দু’দিন আগে তার মালিক জানিয়ে দিয়েছেন আপাতত চাকরি নেই। আরেক বাংলাদেশী আইরিন খান। ১৫ বছর যাবত সেখানে রয়েছেন। তার নিজের ব্যবসা রয়েছে। তার মতে, বাংলাদেশীরা এতোটাই আতঙ্কেÑ তারা কি করবেন দিশা পাচ্ছেন না।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭ জন।
ওদিকে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তরফে বলা হয়েছে, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এখানে বসবাস করছেন। কোন সুনির্দিষ্ট দেশকে দায়ী করা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও ভীতিজনক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী