অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সীমাহীন ভোগান্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিডি


বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক ও দৈনন্দিন কর্মকান্ডসহ অর্থ রোজগারের সব উপায় বন্ধ হওয়া নিম্ন, নিম্ন আয়ের এবং সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সীমাহীন ভোগান্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি। সিপিডি করোনার প্রভাব সম্পর্কিত এক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ঐ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে সিপিডি বলেছে, ঐ জনগোষ্ঠীর জন্য কোনই অর্থ বরাদ্দ নেই। সংস্থাটি এ ধরনের ১ কোটি ৯০ লাখ পরিবারের জন্য নগদ ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই প্রণোদনার অর্থ দিয়ে সাড়ে ৭ কোটির বেশি মানুষকে সহায়তা করা যায়। তিনি এক্ষেত্রে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সরকার ইতোমধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সিপিডি বলেছে, করোনার নেতিবাচক প্রভাবে লকডাউন ও অন্যান্য কারণে কর্মহীনতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং দিনমজুরদের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
সংস্থাটি দুটো পন্থায় এই অর্থ বরাদ্দের উপায় দেখিয়েছে। এক হিসেবে দেখানো হয়েছে- মাসে ১০ হাজার টাকার নীচে আয় এবং প্রতি পরিবারে ৪ জন সদস্য রয়েছে- এমন ১ কোটি ৭০ লাখ পরিবারকে ২ মাসে ১৬ হাজার টাকা দিলে সরকারের ব্যয় হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৪ লাখ মানুষকে সুবিধা দেয়া যায়। আর মাসে ১১ হাজার টাকার নীচে বিবেচনায় নিলে পরিবারের সংখ্যা হবে ৭ কোটি ৫৭ লাখ। এতে ব্যয় হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর বিপদের এই দিনে সহায়তা পাবে ৭ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ। সিপিডি শেষের হিসেবটিকেই বেশি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG