অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে অষ্টম প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিল তালিবান


কাবুল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে বাঘলান প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-খুমরি তালিবান দখল করার পর, একজন তালেবান যোদ্ধাকে ( বাঁ থেকে দ্বিতীয় ) স্থানীয়দের সাথে দেখা যাচ্ছে। ১১ই আগস্ট, ২০২১। ছবি-এফপি
কাবুল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে বাঘলান প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-খুমরি তালিবান দখল করার পর, একজন তালেবান যোদ্ধাকে ( বাঁ থেকে দ্বিতীয় ) স্থানীয়দের সাথে দেখা যাচ্ছে। ১১ই আগস্ট, ২০২১। ছবি-এফপি

তালিবান যোদ্ধারা বুধবার উত্তর আফগানিস্তানের আরেকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার ছয় দিনের মধ্যে অষ্টম প্রাদেশিক রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রনে আসলো। 

তালিবান যোদ্ধারা বুধবার উত্তর আফগানিস্তানের আরেকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার ছয় দিনের মধ্যে অষ্টম প্রাদেশিক রাজধানী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রনে আসলো।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের রাজধানী ফৈজাবাদ তালিবানের দখলে আসে তখন, যখন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি মাজার-ই-শরীফে যান তার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য।

বাদাখশানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জাওয়াদ মুজাদিদী রয়টার্সকে বলেন, ফয়জাবাদে দীর্ঘ যুদ্ধের পর, সরকারি বাহিনী আশে পাশের এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, তালিবান যোদ্ধারা মঙ্গলবার আক্রমণ চালানোর আগে প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয় এবং ফায়জাবাদ শহরটি অবরোধ করে রাখে।

সুদূর উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের সীমান্ত জুড়ে আছে, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান এবং চীন।

তালিবান যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করতে এবং কঠোর ইসলামী আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে। যে গতিতে তারা এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সরকার এবং তার মিত্ররা হতবাক হয়েছে।

তালিবান বাহিনী এখন আফগানিস্তানের ৬৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, ১১ টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে বা দখল করার হুমকি দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তরে ন্যাশনাল ফোর্সেস এর কাছ থেকে কাবুল যে সমর্থন পায়, তা থেকে আফগান সরকারকে বঞ্চিত করতে চাইছে তালিবান।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগান নেতাদের তাদের স্বদেশের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তিনি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত নন। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০ বছরে ১ লক্ষ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে এবং হাজার হাজার সৈন্য হারিয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগান বাহিনীকে উল্লেখযোগ্য বিমান সহায়তা, খাদ্য, সরঞ্জাম এবং বেতন প্রদান করছে।

XS
SM
MD
LG