অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ বলছে দক্ষিণ সুদানে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে


ফাইল ফটো – ১লা অক্টোবর ২০২১ দক্ষিণ সুদানের জুবায় শ্বেত নীলনদে একটি পরিত্যক্ত নৌকা দেখা যায়। ২০২০ সালে এক শতাব্দীর মধ্যে নীল নদে বন্যার পানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এবং দেশের কিছু অংশে পানি আর কমেনি।
এপি
ফাইল ফটো – ১লা অক্টোবর ২০২১ দক্ষিণ সুদানের জুবায় শ্বেত নীলনদে একটি পরিত্যক্ত নৌকা দেখা যায়। ২০২০ সালে এক শতাব্দীর মধ্যে নীল নদে বন্যার পানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এবং দেশের কিছু অংশে পানি আর কমেনি। এপি

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ সুদানে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টি এবং প্রবল বন্যায় জনবসতি একেবারে ভেসে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষের জীবিকা অর্জনের উপায় ধ্বংস হয়েছে।

দক্ষিণ সুদানে বন্যা হওয়া নতুন নয়। তবে যেটা নতুন তা হ'ল ঘন ঘন বন্যা হওয়া এবং এর তীব্রতা বাড়া। দক্ষিণ সুদানে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি আরাফাত জামাল বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, বন্যায় ৭ লক্ষের ও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা বাইবেলে বর্নিত অনুপাতের কাছাকাছি।

জামাল বলেন, "মানুষ সহস্রবছর ধরে বন্যা দেখে আসছে তা তারা মোকাবিলা করতেওসক্ষম হয়েছে। বন্যার সময় মানুষ উঁচু এলাকায় চলে যেতে পারে এবং এর পরে পানি নেমে যাওয়ার সংগে সংগে তারা নীচে নেমে আসে। কিন্তু যখন বছরের পর বছর উঁচু এলাকায় বন্যা হয় তখন তাতে ফসল ধ্বংস হয় এবং পুনরায় ফসল রোপণ করতে দেয় না। তখনই কিন্তু জনগণের বেঁচে থাকার ক্ষমতা ক্ষয়ে যেতে থাকে।”

তিনি উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান বন্যা এমন এক সময়ে আঘাত হেনেছে যখন দক্ষিণ সুদানের মানুষ তিনটি হুমকির সম্মুখীন। তারা সংঘর্ষ, কোভিড-১৯ এবং ক্ষুধার হুমকির মুখোমুখী। তিনি বলেছেন যে জলবায়ু সংকট তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে মারাত্মক বন্যা অব্যাহত থাকবে বলে ধরণা করা হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে জংলেই, ইউনিটি, নর্দার্ন বাহার এল গাজাল এবং আপার নাইল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য। "আমি দ্বীপগুলিতে আটকে পড়া মানুষদের দেখেছি। আমি এমন লোকজনদের কাছ থেকে শুনেছি যাদের ঘাস এবং শিকড়বাকড় খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। এবং আমরা শুনেছি যাদের শুকনো এলাকায় পৌঁছাতে ১০ দিন ধরে হাঁটতে হয়েছে। জামাল বলেন, সম্পদের দিক থেকেও এটি অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। দক্ষিণ সুদান কৃষি প্রধান একটি দেশ এবং তারা গবাদি পশুর পালের উপর নির্ভর করে,"

তিনি বলেন, গবাদি পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা আটকে পড়েছে এবং ডুবছে, কাদায় আটকে আছে এবং পশুগুলো বেঁচে থাকতে পারছে না। বন্যায় জোয়ার, আম এবং বাজরার পুরো ক্ষেত ধ্বংস হয়েছে।

তিনি জানান যে দক্ষিণ সুদানের সরকারের সাথে ইউএনএইচসিআর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করছে। এই সাহায্যের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োজনীয় জিনিষ, খাবার, জরুরী আশ্রয় এবং আলো সরবরাহের জন্য সৌর লণ্ঠন।

তিনি আরও বলেন, আরো অনেক সহায়তা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনর্গঠন এবং মানুষের জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ।

.

XS
SM
MD
LG