পূর্ব ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে সাম্প্রতিক ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সময় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মিত ও চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে যৌন নির্যাতন ও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অসৎ কর্মে জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তা মোকাবেলায় সংস্থাটি একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ঐ অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয় তারা ২৮শে সেপ্টেম্বর এক হৃদয়বিদারক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ইবোলার প্রাদুর্ভাবের সময় কর্মরত আন্তর্জাতিক কর্মী এবং স্থানীয় নিয়োগ করা কর্মী কয়েক ডজন মহিলাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে যৌনকর্মে বাধ্য করিয়েছে বলে এই কমিশন প্রমাণ পেয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে তারা ভবিষ্যতে একই ধরনের নির্যাতন রোধে ভুক্তভোগী এবং যারা বেঁচে গেছেন তাদের কথা মনে রেখেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনায় যৌন শোষণ ও নির্যাতনের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জবাবদিহিতার এবং ব্যবস্থা গ্রহণেরএকটি অভ্যাস গড়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ বলেছেন, অপরাধমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা করা বা নিষ্ক্রিয় থাকা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেছেন যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, “স্বাধীন কমিশনের রিপোর্টি পাওয়ার পর অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার চাকুরে চার জনের চুক্তি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাতিল করেছে। অন্যান্য ব্যক্তি যাদের প্রকৃতপক্ষে বা অভিযুক্ত অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। ঐসব ব্যক্তি যাতে জাতিসংঘের কোন বিভাগেই আবার চাকরী না পায় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের নাম জাতিসংঘের ডাটাবেসে প্রেরণ করা হয়েছে।"
জাসারাভিচ বলেন, ধর্ষণ ও অন্যান্য শারীরিক সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও তদন্তের জন্য ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে এবং তাদের নিজ দেশের সরকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে নির্যাতনের শিকার এবং জীবিতদের প্রতি দৃষ্টি রেখে তারা জীবন-জীবিকার সহায়তা প্রদান করবে,সেইসাথে যারা যৌন শোষণ এবং নির্যাতনে ভুগেছেন তাদের জন্য ব্যাপক চিকিৎসা এবং মানসিক-সামাজিক সহায়তা প্রদান করবে।