জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তারা রাজধানী খার্তুমে রবিবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েক জন নারী ও মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সুদানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসাবে যা শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত যৌন সহিংসতা, হয়রানি এবং মারাত্মক বিশৃঙ্খল দৃশ্যে পরিণত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে । জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল বলেছেন যে সুদানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা রিপোর্ট পেয়েছেন যে সাম্প্রতিক একটি বিক্ষোভের সময় ১৩ জন নারী ও কিশোরী ধর্ষণ বা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
থ্রোসেল বলেছেন, “আমরা রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের আশেপাশের এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টাকারী নারীদের কাছ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যৌন হয়রানির অভিযোগও পেয়েছি। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে, এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ গোলাবারুদের দ্বারা আহত হয়েছে, কেউ কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টারে আহত হয়েছে এবং কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা মার খেয়েছে, এবং অন্যরা টিয়ার গ্যাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছে,"।
২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিক্ষোভের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থান এবং নভেম্বরে স্বাক্ষরিত রাজনৈতিক চুক্তির প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিল।