অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীন ও ইরানের মধ্যে কৌশলগত চুক্তির ব্যাপক বাস্তবায়ন শুরু


ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দেখা যাচ্ছে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ছবি- রয়টার্স
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দেখা যাচ্ছে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ছবি- রয়টার্স

চীন শনিবার জানায়, ইরানের সঙ্গে তারা একটি কৌশলগত চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে। বেইজিং বলেছে, তারা তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাকে মানে না।

চীন ও ইরান জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত অংশীদারিত্বের বিষয়ে কয়েক বছরের আলোচনার পর গত বছর এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান গতকাল শুক্রবার পূর্ব চীনের উক্সিতে এক বৈঠকে এই অংশীদারিত্বের বাস্তবায়ন শুরুর ঘোষণা দেন।

গোপনীয় চুক্তির কিছু বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। খসড়া চুক্তির ফাঁস হওয়া একটি কাগজ উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস ২০২০ সালের রিপোর্টে উল্লেখ করে ইরান চীনের জন্য নিয়মিত তেল সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

চীন ইরানের নেতৃস্থানীয় বাণিজ্য অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চীনের ওপর একতরফা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আগে দেশটির তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা ছিল চীন।

চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্য দেশ থেকে আমদানির ছদ্মবেশে ইরানের অপরিশোধিত তেল চীনে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ওয়াং শুক্রবার তার ইরানের প্রতিপক্ষকে বলেছেন, চীন "ইরানের বিরুদ্ধে অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে"।

বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ২০১৬ সালে ইরানে এক বিরল সফরে দেশটিকে "মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রধান অংশীদার" হিসেবে বর্ণনা করেন।

তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন বন্ধ করার জন্য একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে ভিয়েনায় আলোচনা অব্যাহত থাকার সময় ওয়াং এবং আমির-আবদুল্লাহিয়ানের বৈঠক হয়।

২০১৫ সালের চুক্তি ছিল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সমন্বয়ে একটি চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে তেহরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব ছিল।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় এবং ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই সিদ্ধান্ত তেহরানকে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যেতে প্ররোচিত করে।

XS
SM
MD
LG