অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাবুল সফরের প্রতিবাদ: তালিবানের হাতে মানবাধিকার কর্মী আটক


আজিম আজেমি, কাবুলের একজন আটক মানবাধিকার কর্মী, তার পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ছবিটি।
আজিম আজেমি, কাবুলের একজন আটক মানবাধিকার কর্মী, তার পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ছবিটি।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোইদ ইউসুফের কাবুল সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করার জন্য মানবাধিকার কর্মী আজিম আজেমি এবং অন্য তিনজন কর্মীকে তালিবান আটক করেছে।

কাবুলে পাকিস্তানি দূতাবাস জানিয়েছে, আবহাওয়ার কারণে ইউসুফের সফর পরে স্থগিত করা হয়।

আজেমি সোমবার টুইটারে নির্ধারিত বিক্ষোভের কথা প্রচার করেন এবং তালিবান নেতাদের তাদের সুরক্ষা দিতে বলেন।

আজেমির সাথে যে তিনজন মানবাধিকার কর্মীকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন আহমদ শাহ, আব্দুল করিম বিলাল এবং হায়াতুল্লাহ রউফি।

আরেকজন সক্রিয়বাদী ইনায়াতুল্লাহ কাজিজাদা একটি ফোন সাক্ষাত্কারে অফ আমেরিকার দিওয়া ভাষা বিভাগকে বলেছেন, "আমাদের বন্ধুরা দেখেছে যে তালিবান কাবুলের শাশ-দারাক জেলা ২-এ আজিম এবং অন্যান্য কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে ও গ্রেপ্তার করছে," ৷

তালিবানের পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া প্রধান জেনারেল মবিন খান ভয়েস অফ আমেরিকার দিওয়াকে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, "আমি তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের জানাবো।" তারপর এ ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে আর কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আফগান পিস ওয়াচের প্রধান হাবিব খান ভয়েস অফ আমেরিকার দিওয়াকে বলেছেন যে তিনি আজেমি এবং তার বন্ধুদের সাথে তাদের গ্রেফতারের কিছুক্ষণ আগে যোগাযোগ করেছিলেন।

হাবিব খান একটি ফোন সাক্ষাত্কারে বলেছেন, " মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা তালিবানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি," ৷ আজেমি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে প্রতিবাদটি তালিবানের বিরুদ্ধে ছিল না; এটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু তালিবান যেহেতু পাকিস্তানের পক্ষে, তারা এই ধরনের প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না।"

আফগানিস্তানে টুইটারে শীর্ষ ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ এবং বিষয় ছিল #releaseAzeem।

এই প্রতিবাদের সংগঠকরা টুইটারে বলেছেন যে কাবুলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সফরের প্রতিবাদ করতে ১৫০ জনেরও বেশি লোক প্রস্তুত ছিল।

XS
SM
MD
LG