ত্রাণকর্মীরা শুক্রবার জানিয়েছেন, ইয়েমেনের কারাগারে এক "ভয়াবহ" বিমান হামলায় অনেক লোক মারা গেছে এবং অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবারের আগের রাতে মারাত্মক বোমা হামলায় এটাই বোঝা যাচ্ছে যে সহিংসতার নাটকীয় ভাবে বেড়েছে।
হুথি বিদ্রোহী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল সাদাতে ভয়াবহ দৃশ্য দেখা যায় যখন উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত কারাগার ভবন থেকে লাশ টেনে বের করে এবং ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ স্তূপ করে রাখে। বিদ্রোহীদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে এই দৃশ্য দেখা যায়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে যে আরও দক্ষিণে হোদেইদাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সরকারপন্থী জোটের বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপে নীচে মৃতদেহ পড়েআছে এবং জীবিতরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। জোটের বিমান হামলায় একটি টেলিযোগাযোগ কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। একটি ওয়েব মনিটর জানিয়েছে, ইয়েমেন দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের শিকার।
কারাগারে হামলায় সাদা’র হাসপাতালে প্রায় ২০০ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস যার ফরাসিভাষায় সংক্ষিপ্ত নাম এমএসএফ তারা জানিয়েছে " তারা আর রোগী নিতে পারবে না" ।
ইয়েমেনের এমএসএফ-এর প্রধান আহমেদ মাহাত এক বিবৃতিতে বলেন, "বিমান হামলার স্থানটিতে এখনো অনেক লাশ পড়ে রয়েছে, অনেক মানুষও নিখোঁজ রয়েছে।"
"তিনি বলেন, "কতজন নিহত হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। মনে হচ্ছে যেন এটা নৃশংস সহিংসতা”।
ইরান সমর্থিত হুথিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করার পাঁচ দিন পর এই হামলা চালানো হয়েছে। ঐ হামলায় তিনজন নিহত হয় এবং সাথে সাথে পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবার গ্রীনিচ মান সময় বিকেল তিনটায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে হুথি হামলার বিষয়ে একটি জরুরি অধিবেশনে মিলিত হওয়ার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাত জানুয়ারি থেকে নিরাপত্তা পরিষদে একটি অস্থায়ী আসন পেয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত যারা ২০১৫ সাল থেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এই অনিয়ন্ত্রিত সংঘাতের ফলে লক্ষ লক্ষ ইয়েমেনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদেরকে চরম দুর্ভিক্ষের মাঝে ফেলে দিয়েছে।
জোট দাবি করেছে যে বিধ্বস্ত দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এলাকা হোদেইদাতে এই হামলা চালানো হয় তবে তারা সাদার উপর কোন হামলা চালানোর কথা উল্লেখ করেনি।