শুক্রবার ইয়েমেনে বিমান হামলার বিষয়ে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এই হামলায়, অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন এবং ইয়েমেনের ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শনিবার এক বিবৃতিতে জানায় যে, উত্তর ইয়েমেন যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেই হুথিরা, জাতিসংঘ বা রেড ক্রসকে এ বিষয়ে সতর্ক করেনি যে, বোমা হামলার এই স্থানটি সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিৎ, যেসব স্থান হামলা -মুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় ।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি জানায় যে অন্তত ১০০ জন হতাহত হয়েছেন।
নিকট ও মধ্য প্রাচ্যের জন্য রেড ক্রসের আঞ্চলিক পরিচালক, ফ্যাবরিজিও কারবোনি এক বিবৃতিতে বলেন, “সশস্ত্র সহিংসতায় মানুষের জীবন রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। ইয়েমেনে আমরা যে জীবনহানি প্রত্যক্ষ করছি, তা মেনে নেয়া যায় না।”
ইয়েমেনে পৃথক আরেকটি বিমান হামলায়, হোদেইদা শহরে একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় তিন জন শিশু নিহত হয় বলে, সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে। অন্তত পাঁচ জন প্রাপ্তবয়স্কও হামলাটিতে আহত হন।
ইয়েমেনে অবস্থিত জাতিসংঘ মিশন বলে যে, শহরটিতে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের বিষয়ে তারা “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”, যেই সংঘাতে বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন এবং পাবলিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘ মিশনটি বলে, “হোদেইদা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনায়, হোদেইদাতে সামরিক সংঘাত চলতে থাকলে, তার ফলাফল ইয়েমেনের মানুষদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, কারণ বন্দরটি দেশটির লোকজনের জন্য জীবনরক্ষাকারী একটি সংযোগস্থল”।
ইয়েমেন নিজেদের প্রায় সমস্ত খাদ্য ও জ্বালানীর জন্যই আমদানির উপর নির্ভরশীল। এই আমদানির বেশিরভাগই, লোহিত সাগরে অবস্থিত হোদেইদার বন্দরটির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিমান হামলা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপর হুথিদের হামলা, উভয়েরই নিন্দা করেন।
জাতিসংঘে তিনি সংবাদাতাদের বলেন, “এই সংঘাত বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।”
তিনি সকল পক্ষের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, বন্দর ও বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা, ও তারপর একটি গুরুতর আলোচনা আরম্ভ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।