অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাবির ছাত্রীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। (ছবি- ইউএনবি)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। (ছবি- ইউএনবি)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি।

জাবির জনসংযোগ কার্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তার বক্তব্য সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাবির শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে জাবির শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে কষ্ট পেয়েছেন। তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জাবির উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

উল্লেখ্য, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একটি অডিও মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও ক্লিপে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে শোনা যায় শাবিপ্রবির উপাচার্যকে। এ মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ পৃথক বিবৃতিতে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। এরপর গত শনিবার বিকেলে ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন এবং মধ্যরাতে মশালমিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রীরা।

১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

XS
SM
MD
LG